বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার নিজের দেশের সংসদেই বিরোধী সাংসদের অভিযোগে জর্জরিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিরোধীদের অভিযোগ, ভারত সফরের সময় মুসলমানদের উপর হওয়া অত্যাচার প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রশ্ন করতে ভয় পেয়েছিলেন। একই সঙ্গে ভারতে মানবাধিকার নিয়েও প্রশ্ন তুলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। এমনকি বরিসের বুলডোজারের সওয়ারি করা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে সেখানে। বিরোধীদের কটাক্ষ ‘দিন কয়েক আগেই বুলডোজার চালিয়ে মুসলিমদের বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাহলে সেই পরিস্থিতিতে বুলডোজার চড়ে এবং চালিয়ে কী বার্তা দিতে চাইলেন বরিস?’
সম্প্রতি ভারত সফরে এসে কয়েক হাজার কোটি টাকার একটি চুক্তি সাক্ষর করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে গুজরাটের একটি বুলডোজার নির্মাতা সংস্থার কারখানাও পরিদর্শন করেন তিনি। সেখানেই বরিসকে বুলডোজার চড়তে দেখা যায়। আর তারপর থেকেই বরিসের বুলডোজার সওয়ারি একখানি বড়সড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। এর পাশাপাশিই ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত সরকারকে মুসলিম বিরোধী বলে অভিযুক্ত করেছেন জারাহ সুলতানা সহ বেশ কয়েকজন বিরোধী সাংসদ।
জারাহ সুলতানা সংসদে তাঁর বক্তব্য পেশ করে বলেন, ‘ভারতে মুসলিম বিরোধী পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যখন গত সপ্তাহে ভারত সফরে গেছিলেন তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তাঁর মুসলিম বিরোধী নীতি নিয়ে প্রশ্ন করবেন বলে মনে করা হয়েছিল। আশা করা হয়েছিল যে ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে। কিন্তু তিনি বুলডোজারে চড়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন যেখানে তার একদিন আগেই মুসলমানদের ঘর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।’
উল্লেখযোগ্যভাবে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তাঁর ভারত সফর শুরু করেছিলেন গুজরাট থেকে। এই সময়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে পঞ্চমহলের বুলডোজার কারখানায় যান। সেখানেই বুলডোজার চালাতে দেখা যায় তাঁকে। আর স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই মুহুর্তেই ভাইরাল হয় সেই ছবি।