বাংলা হান্ট ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলনেতা তথা তাঁর প্রিয় কেষ্টা অনুব্রত মণ্ডল নিজেকে বরাবরই একজন জননেতা বলে দাবি করেছেন। তুমি সব সময় বলে এসেছেন যে আপদে-বিপদে সাধারণ মানুষ তাকে সব সময় পাশে পান। কিন্তু বীরভূমের সাংসদ অনুব্রত মণ্ডল সহ তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের জন্য এক বিরাট সংখ্যক নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করেছে রাজ্য সরকার।
কিন্তু এদের সকলের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল এর জুড়ি মেলা ভার, জেলার তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের নিরাপত্তারক্ষী সংখ্যা বর্তমানে ৬০ ছুঁয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে রীতিমতন সরব হয়েছেন বিরোধী দলগুলি। তারা সকলেই দাবি জানিয়ে বলেছেন যে, রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতে যেসব তৃণমূল নেতা বা মন্ত্রী রয়েছেন তাদেরও পর্যন্ত এমন সকল নিরাপত্তা রক্ষী নেই যা অনুব্রত মণ্ডলের রয়েছে।
বীরভূম জেলার মন্ত্রী কেষ্টা তথা জননেতা অনুব্রত সঙ্গে সবসময় কমপক্ষে 8 জন নিরাপত্তারক্ষী থাকে। আর যখন তিনি কোন জনসভায় যান তখন সেখানে আরও ৪ জন মহিলা নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয় তাঁর জন্য। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অনুব্রত এরকম ভরণপোষণের তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল সেই দলের সভাপতি, যিনি আকথা-কুকথা বলে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসতে খুব পছন্দ করেন। বাংলার মানুষ এই বিষয়টাকে ভালো চোখে দেখে না। তাই তাকে নিরাপত্তা দিতেই হবে। তার দলের ভিতরেই নিরাপত্তার অভাব। কেষ্টবাবু আবার উন্নয়ন বাহিনী তৈরি করেছিলেন। যার সরকার, যার পুলিশ বাহিনী, উন্নয়ন বাহিনী, যিনি এত বোম, বারুদ, বন্দুকের কারখানা তৈরি করেছেন বীরভূমে, তার পুলিশ বাহিনীর দরকার নেই। নিরাপত্তার জন্য তার পার্টি যথেষ্ট।”