IFS অফিসারের শেয়ার করা এই ছবিতেই লুকিয়ে রয়েছে একটি পাখি, খুঁজতে ব্যর্থ ৯৯% মানুষ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এখনকার দিনে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ব্যবহার করেন না এমন মানুষ রীতিমতো খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। মূলত, নেটমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলিতে সময় কাটানোর জন্য একাধিক জিনিস পাওয়া যায়। পাশাপাশি, বর্তমান সময়ে নেটমাধ্যমে আমরা এমন কিছু ছবি দেখতে পাই যেগুলি আর পাঁচটা সাধারণ ছবির তুলনায় কিছুটা ভিন্ন হয়। কারণ, ওই ছবিগুলি “Optical Illusion” অর্থাৎ দৃষ্টিভ্রমের মাধ্যমে সবাইকে অবাক করে দেয়।

মূলত, ওই ছবিগুলিতে একটি নির্দিষ্ট ধরণের প্রতীক বা কোনো বিষয়কে অনুসন্ধান করতে হয় নেটিজেনদের। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ছবিগুলির সঠিক সমাধান করা এতটাই কঠিন হয়ে পড়ে যে ৯৯ শতাংশ মানুষই এগুলির সঠিক উত্তর দিতে পারেন না। তবে, এই ছবিগুলিকে নির্ভুলভাবে সমাধান করার ক্ষেত্রে মেলে মানসিক প্রশান্তি।

পাশাপাশি, এই ছবিগুলি সমাধানের অভ্যাস বাড়িয়ে দেয় মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও। যে কারণে ছবিগুলি নেটমাধ্যমে আসা মাত্রই সেগুলির সমাধানে ঝাঁপিয়ে পড়েন হাজার হাজার নেটাগরিক। এমতাবস্থায়, ঠিক সেইরকমই এক ছবি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু তাই নয়, ওই ছবিটি শেয়ার করেছেন IFS অফিসার বালামুরুগান পি।

মূলত, ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ফরেস্ট একাডেমিতে (IGNFA) তোলা ওই ছবিটিতে একটি পাখিকে খুঁজে পেতেই কালঘাম ছুটছে সবার। এদিকে, ছবিটি শেয়ার করে বালামুরুগান পি টুইটারে লিখেছেন, “আপনি ঠিক কি দেখছেন তা আমাকে বলুন… ছবিটি @IGNFA_GoIএ তোলা।” পাশাপাশি, তিনি ওই টুইটে আরও বেশ কয়েকজন ভারতীয় বন পরিষেবার আধিকারিককে ট্যাগ করেছেন। ইতিমধ্যেই তাঁর এই টুইটটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, কয়েকশ লাইক সহ বেশ কয়েকটি রিটুইটও হয়েছে। সর্বোপরি, নেটিজেনরা তাঁদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন।

whatsapp image 2022 12 13 at 6.57.10 pm

এইখানে লুকিয়ে রয়েছে উত্তর: মূলত, ওই ছবিটিতে নেটিজেনরা দাবি করেছেন যে, একটি পাখি সেখানে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে। পাশাপাশি, গাছের গুঁড়ির সাথে মিশে গিয়েছে সেটির রং। এমতাবস্থায়, সেটির অবস্থানটি আমরা লালবৃত্তের মাধ্যমে উপস্থাপিত করছি। এদিকে, কয়েকদিন আগে, IFS অফিসার পারভীন কাসওয়ান তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ছবি শেয়ার করেন। যেখানে তিনি তাঁর ফলোয়ার্সদের একটি বিশেষ প্যাটার্নের উপর ভিত্তি করে একটি জাগুয়ার এবং একটি চিতাবাঘকে সঠিকভাবে শনাক্ত করতে বলেন। এমতাবস্থায়, সেটির সমাধান করতেও ব্যস্ত হয়ে পড়েন নেটিজেনরা।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর