বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অসমের পর উত্তর বিহার (Uttar Bihar), বন্যা পরিস্থিতিতে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং সেই সঙ্গে বাধের জল, সব মিলিয়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে বিহারবাসী মানুষেরা। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দিশেহারা সরকারও।
মিলছে না সরকারী সাহায্য
মানুষজনকে ভগবানের ভরসায় রেখে সরকার নিজের কর্তব্য থেকে দায় এড়াতে চাইছে। মানুষ সাহায্যের জন্য সরকারের সাহায্যপ্রার্থী হলেও, কোনোরকম সাহায্যের আশ্বাস মিলছে না। যার ফলে এই মহামারি করোনা এবং বন্যা পরিস্থিতি এই দুইয়ের সম্মুখীন হয়ে হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়ছে উত্তর বিহারের মানুষজন।
মেলেনি ত্রাণ সামগ্রীও
যোগেন্দ্র যাদব, নাগিনা সাহনী, গোপাল কুরমি, বীরেন্দ্র যাদব, রূপচাঁদ গৌড়, জিতেন্দ্র সাহ, বুক গন্ড, সীতারাম গন্ড, নাগা যাদব, শঙ্কর প্যাটেল, ছোটলাল সাহনি, নাভাল সাহনি, শঙ্কর সাহনি প্রমুখ জানিয়েছিলেন, বন্যার জল বাড়িতে প্রবেশ করায় মানুষজন ঘরছাড়া। গত ৫ দিন ধরে জলের নীচে থাকলেও, প্রশাসনের তরফ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি বিতরণ করা হয়নি ত্রাণ সামগ্রীও।
Flood situation worsens further in northern parts of #Bihar.https://t.co/vR64yiHLpf
— All India Radio News (@airnewsalerts) August 2, 2020
বিক্ষোভ প্রদর্শন করে গ্রামবাসী
বর্তমান পরিস্থিতি এতোটাই মারাত্মক হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, বাঘাহার মধুবানী ব্লকের ঘরছাড়া মানুষজন খাদ্য সংকটে পড়েছে। বন্যায় ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় খাদ্যের জোগাড়ও তারা করতে পারছে না। সরকারের থেকে বারংবার সাহায্য না পেয়ে অবশেষে জোনাল অফিসারসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সিসাই গ্রামবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। সেইসঙ্গে দিতে থাকে সরকার বিরোধী শ্লোগানও।
করতে পারে অনশন ধর্মঘটও
বন্যা দুর্গত মানুষজনের সহ্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। অসহায় মানুষজন হুমকি দিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে বন্যা ত্রাণের টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে না সে, তাহলে তারা আঞ্চলিক কার্যালয় ঘেরাও করে অনশন ঘর্মঘট শুরু করবে।