ইজরায়েল থেকে শিখে নিজের মাঠেই শুরু করে জৈবিক চাষ, আজ প্রতি মাসে কামান লক্ষ লক্ষ টাকা

চাকরির পাশাপাশি মানুষ এখন ব্যবসা করেও প্রচুর অর্থ উপার্জন করছেন। নতুনত্ব ব্যবসার মাধ্যমে আর্থিক লাভের সুযোগও অনেক পাওয়া যায়। ঠিক এমনভাবেই জৈব চাষ শিখে এসে প্রচুর টাকা কামাচ্ছেন এই যুবক। মুম্বাই সংলগ্ন পালঘর জেলার এক গ্রামের ছেলে রোহন ঠাকরে। ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনার পাশাপাশি নতুন কিছু করার উদ্যোগ তাঁর মধ্যে ছিল। আর তাই তিনি পড়াশোনা শেষ করে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন, কিন্তু এই সময়ে তিনি কোম্পানির কাজের জন্য ইজরায়েলে যান, আর সেখানে গিয়ে জৈব চাষ শিখে নেন।

কৃষক পরিবারে বেড়ে ওঠা রোহনের ছোট থেকেই কৃষিকাজের উপর আগ্রহ ছিল। আর এবার ইজরায়েলে গিয়ে অনুর্বর জমিতে জৈব চাষ শিখে নেন। এরপর রোহন ভারতে ফিরে প্রথমে এক একর জমিতে জৈব চাষ শুরু করেন এবং তারপর যখন তিনি এই চাষ থেকে ভাল লাভ করতে শুরু করেন এবং এই চাষের চাহিদা বাড়তে থাকে, তখন রোহান 9 একর জমিতে জৈব চাষ শুরু করেন। রোহান বলেন, আমার গ্রাম তিন দিকে তিন নদী দিয়ে ঘেরা। আগে এই গ্রামটি সম্পূর্ণভাবে কৃষি নির্ভর ছিল। এখন অনেক কিছু বদলেছে। মানুষ শহরমুখী হয়েছে।

এছাড়াও রোহান বলেন, প্রথম দিকে মানুষ জৈব চাষে খুব একটা আগ্রহী ছিল না। কিন্তু যখন তাদেরকে বোঝানো হয়, জৈব চাষে খরচ কম। এর পাশাপাশি এই ফসলও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এরপরে কিছু কৃষক জৈব চাষের দিকে উদ্বুদ্ধ হন। রোহান জানান, জৈব চাষের মাধ্যমে ৮ ধরনের ফল ও ১২ ধরনের সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। যার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে মুম্বাইয়ে। এরপর থেকে যে মুম্বাই এবং নাসিক সহ আরও অনেক জায়গা থেকে লোকেরা জৈব চাষের ফসল দেখতে আসত বলেও তিনি জানিয়েছেন।

 

organic farmingআর এখন কৃষিকাজের পাশাপাশি তারা আরও অনেক কিছু করেছেন। কৃষিকাজ শিখতে আসা লোকজনের জন্য মাঠের কিছু দূরত্বে কটেজ তৈরি করা হয়েছে। এখন দুটি কটেজ সম্পূর্ণ প্রস্তুত, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফরেস্ট কটেজ’ ও ‘ফার্মার হাউস’। এই ফরেস্ট কটেজ প্রাকৃতিক কুলিং সিস্টেমের ভিত্তিতে নির্মিত। সেই সঙ্গে বাঁশ, গোবর ও মাটি দিয়ে তৈরি হতো ফার্মার হাউস। গ্রামের মানুষের কাছে রোহন এখন সফল ব্যবসাদার। তাঁর এই কাজ দেখে উদ্ভুদ্ধ হন অন্যান্য মানুষেরাও। আর সেটা বেশি খুশি করে রোহানকে।

সম্পর্কিত খবর