বাংলাহান্ট ডেস্ক : উইলিয়াম শেক্সপিয়র রচিত ‘ওথেলো’ নাটকটি যুগযুগ ধরে মঞ্চস্থ হয়ে আসছে নাটকের রঙ্গমঞ্চে। অনেকই শেক্সপিয়রের এই নাটকটি পড়েওছেন বহুবার। ‘ওথেলো’ নাটকের মুখ্য চরিত্র ওথেলো শেষমেশ তাঁর স্ত্রী ডেসডিমনাকে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে খুন করে। তবে এই ট্র্যাজেডি নাটকের নামানুসারে মনোবিজ্ঞানের জগতে রয়েছে একটি মানসিক রোগ, যার নাম ‘ওথেলো সিন্ড্রোম।’
নিঃশব্দ ঘাতক ‘ওথেলো সিন্ড্রোম’ (Othello syndrome)
এই ‘ওথেলো সিন্ড্রোম’ (Othello syndrome) রোগের মূল লক্ষণই হচ্ছে পার্টনারকে অহেতুক সন্দেহ করা। অনেকসময় এই অহেতুক সন্দেহের বশবর্তী হয়ে অনেকেই ঘটিয়ে ফেলেন মারাত্মক সব ঘটনাও। একটা সহজ উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে আরেকটু ভালোভাবে জেনে নেওয়া যাক। এই সিনড্রোমের মূল বিষয়টি হচ্ছে সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে অন্য কারোর সাথে সন্দেহ করা।
অধিকাংশ সময়েই এই ধরনের সন্দেহের থাকে না কোনো ভিক্তি। তবে এই ধরনের সিন্ড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তি আকাশ-পাতাল ভেবে অশান্তি শুরু করে দেন পার্টনারের সাথে। এমনকি এই ধরনের ব্যক্তিরা অনেকসময় রাগ ও সন্দেহের বশে খুনও করে ফেলেন সঙ্গীকে। সেইরকম উদাহরণও রয়েছে বিস্তর।
আরোও পড়ুন : প্ল্যানচেটে মৃত স্ত্রীর সঙ্গে গল্প, হঠাৎ নিজের ‘ডেডবডি’ দর্শন! স্বয়ং রহস্যে মোড়া বিভূতিভূষণই
ধরা যাক আপনি আপনার অফিসের কোনো কাজে আপনার সহকর্মীর সাথে ফোনে কথা বলছেন, কিংবা আপনি আপনার কোনো বন্ধুস্থানীয় বিপরীত লিঙ্গের মানুষের প্রশংসা করছেন আপনার পার্টনারের কাছে। সেখান থেকে আপনার পার্টনার যদি অবৈধ সম্পর্কের অহেতুক সন্দেহ করতে শুরু করেন, তাহলে সেটি একটা সময় ওথেলো সিনড্রোমের পর্যায়ে চলে যায়।
আরোও পড়ুন : ১০০০ থেকে বাড়িয়ে ১৮০০! এই প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী! বছর শেষের আগেই মিলল সুখবর
ওথেলো সিনড্রোম (Othello syndrome) নানান কারণে বাসা বাঁধতে পারে কারোর মনে। জেনেটিক্যাল (Genetical) কারণ, বাল্যকালের কোনো পরিস্থিতি, হরমোনের তারতম্যের কারণে ওথেলো সিনড্রোমের (Othello syndrome) প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এই রোগ যদি মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত করে তোলে তাহলে উচিত মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া। এছাড়াও সঙ্গীকে সময় দেওয়া ও তার সাথে সমস্ত বিষয় নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করাও সমাধানের পথ দেখাতে পারে। সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করলে এই ধরনের মানসিক রোগ থেকে অনেকটাই দূরে থাকা যায়।