বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চন্দ্র পৃষ্ঠ থেকে মাত্র দুই কিমি দূরে চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের (Lander Vikram) সাথে ইসরোর (ISRO)-র যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং এর বদলে হার্ড ল্যান্ড করে ল্যান্ডার বিক্রম। একদিন আগে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA) জানিয়েছিল যে তাঁরা ল্যান্ডার বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করেছে। কিন্তু নাসার আগেই চন্দ্রযান-২ (Chandrayaan-2) এর অর্বিটর ল্যান্ডার বিক্রমের লোকেশন পেয়ে গেছিল। এই তথ্য সামনে আনেন স্বয়ং ইসরো প্রধান কে সিবান (K Sivan)। উনি জানান, আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে অনেক আগেই এর সম্বন্ধে তথ্য দিয়েছিলাম।
Indian Space Research Organisation (ISRO) Chief K Sivan on NASA finding Vikram Lander: Our own orbiter had located Vikram Lander, we had already declared that on our website, you can go back and see. (3.12.19) pic.twitter.com/zzyQWCDUIm
— ANI (@ANI) December 4, 2019
ইসরো নিজের ওয়েবসাইটে ১০ সেপ্টেম্বর একটি তথ্য দিয়েছিল। সেখানে লেখা ছিল যে, চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের খোঁজ পাওয়া গেছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেটির সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা করা হচ্ছে এখনো। আপানদের জানিয়ে রাখি, নাসা মঙ্গলবার সকালে লুনার অর্বিটার থেকে নেওয়া একটি ছবি জারি করে। যেখানে ল্যান্ডার বিক্রমের ক্র্যাশ সাইটকে দেখানো হয়েছে। নাসা একটি বয়ান জারি করে বলে, চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের খোঁজ পাওয়া গেছে।
ছবিতে নীল আর সবুজ চিহ্নের মাধ্যমে ল্যান্ডার বিক্রমের ধ্বংসাবশেষকে দেখানর চেষ্টা করেছে নাসা। বয়ানে নাসা জানায়, ২৬ সেপ্টেম্বর ক্র্যাশ সাইটের ছবি জারি করেছিল আর বিক্রম ল্যান্ডারকে চিহ্নিত করার জন্য বিজ্ঞানীদের আহ্বান করেছিল। চেন্নাইয়ের কম্পিউটার প্রোগ্রাম আর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার শনমুগ সুব্রামনিয়াম ল্যান্ডার বিক্রমের ধ্বংসাবশেষকে চিহ্নিত করে এলআরও পরিযোজনার সাথে সম্পর্ক করেন।
এরপর এলওআরসি-র টিম প্রথমের এবং পরের ছবির তুলনা করে ক্র্যাশ সাইটকে নিশ্চিত করে। শনমুগ ক্র্যাশ সাইটের উত্তর পশ্চিমে প্রায় ৭৫০ মিটার দূরে থাকা ধ্বংসাবশেষকে চিহ্নিত করেন।