আমাদের রাজ্যেই রয়েছে এশিয়ার প্রাচীনতম হাইওয়ে! যা পৌঁছে গিয়েছে বিদেশেও, অবাক করবে এর ইতিহাস

বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রেই পরিবহণ ব্যবস্থা (Transport System) সেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা পালন করে। এমতাবস্থায়, সড়ক হল দেশের সেই শিরা-উপশিরা যার সাহায্যে দেশটির প্রতিটি কোণ একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। শুধু তাই নয়, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য কাজও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় উন্নত সড়কের মাধ্যমে।

এদিকে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নতুন নতুন অত্যাধুনিক রাস্তা তৈরি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, একাধিক নতুন এক্সপ্রেসওয়েও তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু, আপনি কি জানেন যে দেশের প্রাচীনতম হাইওয়ে তথা মহাসড়কটি কোনটি? অনেকেই এই সহজ উত্তরটি জানেন না। বর্তমান প্ৰতিবেদনে আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করছি।

ভারতের প্রাচীনতম হাইওয়ে: প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, ভারত তথা সমগ্ৰ এশিয়ার প্রাচীনতম হাইওয়ে হল জিটি রোড বা গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড (Grand Trunk Road)। বলা হয় যে, এটি চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজত্বকালে নির্মিত হয়েছিল। তবে ষোড়শ শতাব্দীতে শের শাহ সুরি এটি সম্পন্ন করেছিলেন। তারপর ওই মহাসড়কের পাশে ক্রোশ মিনার (দূরত্ব পরিমাপ করার জন্য), গাছ লাগানো, সরাইখানা ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়।

উল্লেখ্য যে, এক ক্রোশে ৩.২২ কিলোমিটার দূরত্ব পরিমাপ করা হত। পাশাপাশি সরাইখানায় যাত্রীদের থাকার ঘর, পশু বেঁধে রাখার জায়গা এবং জলের জন্য থাকতো কুঁয়ো। দিল্লির চিড়িয়াখানার ভিতরে আজিমগঞ্জের সরাইখানা এখনও রয়েছে।

ভারতের এই হাইওয়ে বিদেশেও চলে গিয়েছে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, এই হাইওয়েটি শুধু দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং তা বিদেশেও পৌঁছে গিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে বর্ধমান, আসানসোল, সাসারাম, প্রয়াগরাজ, আলিগড়, দিল্লি, অমৃতসর হয়ে পাকিস্তানের লাহোর ও রাওয়ালিপিন্ডি পেরিয়ে আফগানিস্তানে চলে গিয়েছে এটি।

main qimg 072f18414950c7c45519c69faa6284e3

অনেকবার পরিবর্তিত হয়েছে নাম: এই হাইওয়ের নাম বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন করা হয়েছে। হাইওয়েটি উত্তর ভারতে হওয়ায় প্রথমে একে উত্তরাপথ বলা হত। পরে সড়ক-ই-আজম, বাদশাহী সড়ক, দ্য লং রোড এবং অবশেষে এর নামকরণ করা হয় গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড। উল্লেখ্য যে, NH-1, NH-2, NH-5 এবং NH-91 ভারতের এই হাইওয়ের অংশ।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর