বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। বছর ঘুরলেই ভোটানুষ্ঠান। ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা। চলছে সভা, পাল্টা-সভা, অভিযোগের তীর ছোড়াছুড়ি। এরই মধ্যে এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগেই সোনা গেলো ভোটের রেজাল্ট। তাও আবার বিরোধী দলনেতার মুখে। এদিন নন্দীগ্রাম থেকে বড়োসড়ো ভবিষ্যৎবাণী করলেন শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari )।
এদিন নন্দীগ্রামের (Nandigram) সভা থেকে দলনেতা হুঙ্কার করে বললেন, ‘১৭টি পঞ্চায়েতের (Panchayat) মধ্যে ১২টি বিজেপির ঝুলিতে যাবে। ১৭টির মধ্যে ১২টি পঞ্চায়েতের প্রধান হবে বিজেপির। আর বাকি পাঁচটির প্রধান কে হবেন, সেটিও বিজেপির সদস্যরাই ঠিক করবেন।’
না! এখানেই থেমে থাকেননি বিরোধী দলনেতা। তিনি আরও জানান, ২টি পঞ্চায়েত সমিতিও বিজেপির ঝুলিতে যাবে। এরপরই সভা থেকে তার কণ্ঠে শোনা গেলো ডিসেম্বর ডেডলাইন প্রসঙ্গ। শিশির পুত্রের দাবি, আরও কোণঠাসা হতে চলেছে রাজ্য সরকার। অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হওয়ার সময়ও কড়া নাড়ছে রাজ্য সরকারের দোরগোড়ায়।
তবে বিরোধী দলনেতার এই ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাতে নারাজ রাজ্যের শক্তিশালী শাসক দল। শুভেন্দুর পূর্বাভাস নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন (Santanu Sen) কটাক্ষ করে বলেন, ‘যিনি নিজের পুর এলাকায় জিততে পারেন না, যিনি সমবায় ভোটে জিততে পারেন না, নিজের দলকে জেতাতে পারেন না, তিনি সেখানে এই সব দিবাস্বপ্ন দেখছেন?’
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘ওরা ইডি-সিবিআইকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। ‘ভয় দেখিয়ে কাজ হবে না’,। সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে শাসক-বিরোধী দ্বন্দে লড়াইয়ের বাতাবরণ আরও তীব্র হচ্ছে বাংলার মাটিতে, ক্রমশ্যই চড়ছে উত্তেজনার পারদ।