বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিগত সময়ে লকডাউনের বছরেও ভারতের নাগরিকত্ব ছেড়েছিলেন ৮৫ হাজার ২৫৬ জন ভারতীয়। চলতি বছরের জুনেও সেই সংখ্যাটা ৮৭,০২৬ হাজার। সালটিকে ব্যতিক্রমই বলতে হবে। কারণ ২০১১ থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত ফি বছর দেশের নাগরিকত্ব ছাড়ার সংখ্যাটা লক্ষাধিক। গত এক যুগে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.৫০ লক্ষে। বিষয়টি গত শুক্রবার লোকসভা সংসদ অধিবেশনে লোকসভায় লিখিত জবাবে জানিয়েছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী।
এইদিন জয়শঙ্কর বলেন, ২০২২ সালে ২,২৫,৬২০ ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন, ২০২১ সালে ১,৬৩,৩৭০ জন, ২০২০ সালে ৮৫,২৫৬ জন, ২০১৯ সালে ১,৪৪,০১৭ জন, ২০১৮ সালে ১,৩৪,৫৬ জন, ১,৩৩, ০৩৯ জন নাগরিকত্ব ছেড়েছেন ২০১৭ সালে। এর আগেও ১,৪১,৬০৩ জন ২০১৬-এ এবং ২০১৫ সালে ১,৩১,৪৮৯ জন ভারতীয় দেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছিলেন। ২০১৪ সালে এই পরিসংখ্যান ছিল ১,২৯,৩২৮ জন এবং ২০১৩ সালে ছিল ১,৩১,৪০৫ জন। যেখানে ২০১২ এর পরিসংখ্যান বলছে, ১,২০,৯২৩ এবং ২০১১ সালে সেটা ছিল ১,২২,৮১৯ জন।
এখন প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এত মানুষ কেন ভারতীয় নাগরিকত্ব ছাড়ছে। জানিয়ে দিই ভারত ডুয়্যাল সিটিজেনশিপ-কে মান্যতা দেয়না। অর্থাৎ আপনি যদি ভারতের নাগরিকত্ব নিয়ে থাকেন তাহলে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিতে পারবেননা। এমতাবস্থায় কর্মজীবনের কারণেই হোক বা যে কোন কারণেই হোক, অন্য কোন দেশের নাগরিকত্ব নিতে গেলে ছাড়তে হবে দেশীয় নাগরিকত্ব।
পাশাপাশি জানিয়ে দিই ডুয়্যাল সিটিজেনশিপ থাকার অনেক সমস্যাও রয়েছে। যার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ আমাদের পড়শীদেশ পাকিস্তান। দেশটি এখনও ডুয়্যাল সিটিজেনশিপ-কে মান্যতা দেয়। আর সেটিই দেশটির জন্য এটি এখন একটি বড় মাথাব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে দেশের সম্পদ খুব সহজেই বিদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেখানে।
এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তার বয়ানে জানিয়েছেন, “গত দুই দশকে বিশ্বব্যাপী কর্মক্ষেত্রে অন্বেষণকারী ভারতীয় নাগরিকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। তাদের মধ্যে অনেকেই ব্যক্তিগত সুবিধার কারণে বিদেশী নাগরিকত্ব গ্রহণ করা বেছে নিয়েছে।” তিনি আরো বলেন, বিদেশে ভারতীয় সম্প্রদায় জাতির কাছে একটি সম্পদ।