বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অয্যোধ্যায় মসজিদের নির্মাণকার্য শুরু করেছে ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট। আর সেদিনই একটি জনসভা থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়ান AIMIM এর প্রধান তথা হায়দ্রাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেন, অয্যোধ্যার নির্মীয়মাণ মসজিদে প্রার্থনা করা হারাম।
ওয়াইসির এই বিতর্কিত মন্তব্যে দেশজুড়ে মুসলিম মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট ওয়াইসিকে পাল্টা দিয়ে বলে, যেই জায়গায় সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইবাদত হয়, সেই জায়গা আর সেই প্রার্থনা কোনদিনও হারাম হতে পারে না।
ওয়াইসি মঙ্গলবার বলেছিলেন যে, অয্যোধ্যায় নির্মীয়মাণ মসজিদের জন্য চাঁদা দেওয়া আর সেখানে প্রার্থনা করা হারাম। তিনি বলেন, মুসলিমদের ওই মসজিদে প্রার্থনা করা উচিৎ নয়। আর মসজিদের জন্য চাঁদা না দিয়ে কোনও গরিব মেয়ের বিয়েতে সাহায্য করা উচিৎ। তিনি এও বলেন যে, এই কথা ওনার নিজের নয়। তিনি বলেন, এই কথা অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের উলেমা এবং বহু ধার্মিক মানুষ এই কথা বলেছেন।
ওয়াইসাই এ ধরণের মন্তব্যে একদিকে যেমন ট্রাস্ট অসন্তুষ্ট হয়েছে, তেমনই আরেকদিকে অসন্তুষ্ট হয়েছে অয্যোধ্যায় নতুন মসজিদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করা মুসলিম সমাজ। ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সম্পাদক আফতাব হোসেন ওয়াইসিকে আক্রমণ করে বলেন, উনি যেখানে মানুষ হয়েছেন সেখানে দেস স্বাধীনের আন্দোলনের প্রভাব পড়েছিল না। ট্রাস্টের সম্পাদক এও বলেন যে, ওয়াইসির পূর্বপুরুষেরা ১৮৫৭ সালে ঘটে যাওয়া মহাবিদ্রোহে অংশ নিয়েছিলেন না বলেই এসব বলছেন আসাদউদ্দিন।
জানিয়ে রাখি, অয্যোধ্যায় বাবরি মসজিদের হয়ে আগাগোড়াই গল ফাটিয়েছেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। সুপ্রিম কোর্টে বাবরি মামলার নিষ্পত্তি হলেও তিনি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তিনি আগাগোড়াই বাবরি মসজিদের জায়গাতেই মসজিদ করার পক্ষে ছিলেন, অন্য কোথাও মসজিদ নিয়ে অতটা উৎসাহী ছিলেন না। আর এই কারণেই হয়ত ওনার এই বয়ান সামনে এসেছে।