গতকাল সকাল হতেই দেশ একটা বড়ো খবর পেয়েছিল। খবর ছিল এই যে, হায়দ্রাবাদ গ্যাং রেপের অভিযুক্তদের পুলিশ এনকাউন্টার করে মেরে ফেলেছে। খবর সামনে আসার পর দেশের মেজাজ বেশ উৎসাহ পূর্ন হয়ে উঠে। তবে অভিযুক্তদের এনকাউন্টার করা নিয়ে নানাজনের নানা মন্তব্য সামনে আসতে শুরু হয়েছে। তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও সেকুলার গ্যাং কান্নায় ভাসিয়ে দিয়েছে। তো অন্যদিকে দেশের বেশিরভাগ মানুষ বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। এর মূল কারন হলো, অভিযুক্তরা আগেই নিজেদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছিল।
তাই জনগণ দাবি তুলেছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এদের ফাঁসি দেওয়া হোক। এর মধ্যে পুলিশ যে কার্যবাহী করে দিয়েছে,তা অনেকের মনের ইচ্ছা পুরণ করেছে। এমনকি ডঃ রেড্ডির পরিবারও পুলিশের এনকাউন্টারকে সমর্থন জানিয়েছে। এনকাউন্টার হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন পুলিশকে মিষ্টি খায়েই, হায়দ্রাবাদ পুলিশ জিন্দাবাদ ইত্যাদি শ্লোগান দিয়ে সমর্থনে দাঁড়িয়ে পড়েছে।
তবে সেকুলার গ্যাং ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের সাথে বেশকিছু রাজনীতিবিদ বিষয়টির উপর বিপরীত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এই তালিকায় কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা পি চিদাম্বরমও রয়েছেন। যিনি পুলিশের এনকাউন্টার করার বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করেছেন।
পি চিদাম্বরম বলেছেন এই এনকাউন্টারের উপর তদন্ত হওয়া উচিত। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম (P. Chidambaram) বলেন, আমি বিষয়টি সঠিকভাবে জানি না। তবে এটার উপর তদন্ত হওয়া উচিত যে এটা সত্যিকারের এনকাউন্টার নাকি জালি এনকাউন্টার। চিদাম্বরম বলেন, একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে আমি বলব যে আসামীরা পালানোর চেষ্টা করছে বা অন্য কোনও বিষয় ছিল কি না, এটিই সঠিক এনকাউন্টার কিনা তা অনুসন্ধানের জন্য পুরো তদন্ত করা উচিত। ‘
প্রসঙ্গত জানিয়ে দি, চিদাম্বরম সন্দেহ করেছে যে এই এনকাউন্টার হয়তো পরিকল্পনা করে করা হয়েছে। অপরাধীরা পলায়ন করার চেষ্টা করেনি। তবে এনকাউন্টার জালি হোক বা সত্যি কারের হোক দেশের জনমত এনকাউন্টারের পক্ষেই রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশ অপরাধীদের উপর তৎকাল একশন চাইছিল যা হায়দ্রাবাদ পুলিশের কার্যবাহীর দ্বারা প্রাপ্তি হয়েছে।