কাজ নিয়ে আপোস নয়, নায়িকার হাতে ছেলে ঋষিকে চড়ের পর চড় খেতে দেখেও থামেননি রাজ কাপুর!

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের সর্বকালের সেরা সিনে ব‍্যক্তিত্বদের মধ‍্যে একজন রাজ কাপুর (raj kapoor)। কাপুর খানদানের শীর্ষে থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের পরিবারের ঠাঁটবাট আরো বাড়িয়েছিলেন তিনি। একাধারে অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক সব ক্ষেত্রেই প্রতিভা দেখিয়েছিলেন রাজ কাপুর। বাবার যোগ‍্য পুত্র ছিলেন ঋষি কাপুর (rishi kapoor)। ছবির দৃশ‍্যে অভিনয় যতক্ষণ না নিখুঁত হচ্ছে ততক্ষণ মনঃপূত হত না বাবা ছেলে কারোরই।

সম্প্রতি অভিনেত্রী পদ্মিনী কোলাপুরে (padmini kolhapure) রাজ কাপু্র ও ঋষি কাপুরের সঙ্গে শুটিংয়ের একটি স্মৃতি শেয়ার করেন। বাবার সামনেই ছেলেকে একের পর এক চড় মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু নির্বিকার ছিলেন রাজ কাপুর। ছেলেকে মার খেতে দেখেও মুখ খোলেননি তিনি।

rishi kapoor 759
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ‍্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পদ্মিনী জানান, ‘প্রেম রোগ’ ছবির শুটিংয়ে নায়ক ঋষি কাপুরকে আট বার চড় মেরেছিলেন তিনি। কারণ রাজ কাপুর বলেছিলেন, আস্তে চড় মারলে হবে না। চড়ের দৃশ‍্যটা বাস্তব দেখানো চাই। অভিনেত্রী বলেন, সাধারনত এই ধরনের দৃশ‍্যে জোরে চড় মারার অভিনয়টা করতে হয়। আর থাপ্পড়ের শব্দটা ঠিক সময় মতো বসিয়ে দেওয়া হয় ছবিতে।

কিন্তু রাজ কাপুর তো রাজ কাপুর। তাঁর সাফ কথা ছিল, “আমার সত‍্যিকারের চড় চাই।” চিন্টু ওরফে ঋষিও পদ্মিনীকে বলেছিলেন ভয় না পেয়ে তাঁকে চড় মারতে। তবুও অভিনেত্রী মানতে পারেননি। চড়টা জোরে শুরু করলেও ঋষির গালে নামার সময়ে ধীরেই হয়ে গিয়েছিল প্রথম শটটা। সঙ্গে সঙ্গে রাজ কাপুর বলে ওঠেন, “না, এত আস্তে চড় মারলে হবে না!”

পদ্মিনী জানান, এরপর একের পর সমস‍্যা আসতেই থাকে। কখনো ক‍্যামেরা, কখনো আলো। শেষ পর্যন্ত আট বার চড় খেতে হয়েছিল ঋষি কাপুরকে। অভিনেত্রী বলেন, “আমি ভাবি যদি কখনো আমাকে এতগুলো চড় খেতে হত তাহলে কী হত!” বক্স অফিসে বেশ হিট হয়েছিল রাজ কাপুর পরিচালিত এই ছবি।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর