বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানী সেনাদের (pakistani army) ঘৃণ্য রূপ আরও একবার সকলের সামনে চলে এল। নিজের দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করতে করতে এবার তারা বহির্দেশের মানুষের উপরও নিজের কর্তৃত্ব ফলাতে চাইছে। এই বিষয় প্রকাশ্যে আসতেই পাকিস্তানী সেনাদের ঘৃণ্য মানসিকতার আবারও প্রকাশ ঘটল।
পাকিস্তানে জোর করে সংখ্যালঘুদের ধর্ম পরিবর্তন করা হয়। জোর করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করানোর বিষয়ে আমরা আগেই শুনেছি। কিন্তু এবার শুধুমাত্র নিজের দেশ নয়, বহির্দেশের মানুষের উপরও তারা একই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে শুরু করেছে। অর্থাৎ ধর্ম পরিবর্তনের জোরজারি করতে শুরু করেছে।
United Nation -এর বেশকিছু কর্মচারীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য জোর করার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানী সেনা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। আফ্রিকার কঙ্গো থেকে এমনই কিছু ঘটনা প্রকাশে এসেছে। সেখানে কর্তব্যরত পাকিস্তানী সেনা আধিকারিকরা বেশ কয়েকজন SI কর্মচারীদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য জোর দেয়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
এতদিন ধরে দেশের মধ্যে বিষয়টা থাকলেও, এবার দেশের বাইরে অন্য দেশের নাগরিকদের জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য জোর দেওয়ার বিষয়ে পাকিস্তানী সেনাদের নিম্ন মানসিকতার প্রকাশ পায়। যে ঘৃণ্য কাজ তারা দেশের মানুষদের উপর প্রয়োগ করত, এবার তারা সেটা বাইরের দেশের মানুষের উপরও করতে চাইছে।
জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য চাপ দেওয়ার বিষয়ে সে পাকিস্তানী সেনা আধিকারিকের নাম প্রকাশ্যে এসেছে, তিনি হলেন সাকিব মুস্তাকি, যিনি কঙ্গোতে United Nation -এর মিশনে ডেপুটি কম্যান্ডার হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন। জানা গিয়েছে, এখানে আসার পর থেকে থেকেই তিনি সেখানকার মানুষকে ইসলাম ধর্ম দীক্ষিত করার চেষ্টা করছে। এমনকি সেখানে মসজিদও স্থাপন করেছে। অর্থাৎ, সেখানে শান্তি স্থাপন করতে নয়, পাক সেনারা সেখানে ইসলাম ধর্ম প্রচারের কাজ করছে।