বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee), ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন তিনি। ভারতের (India) ইতিহাসে স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর থেকে যেসকল প্রধানমন্ত্রী দেশ শাসনের দায়িত্ব হাতে নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অটল বিহারী বাজপেয়ী অন্যতম এক ব্যক্তিত্ব। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দেশের সেবায় নিজেকে ব্রতী রেখেছিলেন। তাঁর হাত ধরেই বর্তমান দিনের ভারতীয় জনতা পার্টি ভারতে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। আজ এই মহান ব্যক্তিত্বের জন্মদিনে তাঁর প্রতি রইল অগাধ শ্রদ্ধা।
বিগত দু বছর হল এই মহান নেতা আর আমাদের মধ্যে বিরাজমান নেই। জীবনের মায়া কাটিয়ে মহাশূণ্যে বিলীন হয়ে গেছেন তিনি। আজকের এই মহান দিনে তারই বিষয়ে এমন এক তথ্য আমনাদের সামনে তুলে ধরব, যা শুনে গর্বে বুক ভরে উঠবে প্রতিটি ভারতবাসীর। তিনি নাকি বিয়ের পন ও যৌতুক হিসেবে পুরো পাকিস্তানকে দাবী করেছিলেন!
অটল বিহারী বাজপেয়ীর দক্ষতা
১৯২৪ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর মধ্যেপ্রদেশের গোয়ালিয়রের সিন্ধ ছাউনিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, ভারতের এই মহান ব্যক্তিত্ব। তাঁর পিতা কৃষ্ণ বিহারী বাজপেয়ী ছিলেন পেশায় একজন অধ্যাপক এবং মাতা ছিলেন কৃষ্ণা দেবী। ছোট বয়স থেকে রাজনীতির বিষয়ে তিনি এতটাই পারদর্শী ছিলেন যে, তাঁর থেকে বয়সে এবং সর্বোপরী বেশি অভিজ্ঞ নেতারাও তাঁর বক্তৃতা মন দিয়ে শুনতেন।
ভারত-পাকিস্তান বাস পরিষেবা চালু
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অটল বিহারী বাজপেয়ী ১৯৯৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাস পরিষেবা চালু করেছিলেন। পাঞ্জাবের অমৃতসর থেকে পাকিস্তানের লাহোর পর্যন্ত চালু হওয়া এই বাস পরিষেবায় নিজেও লাহোর গিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। পাকিস্তানে পৌঁছানোর সাথে সাথেই তাঁকে সাদরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
সেইসঙ্গে পাক গভর্নর হাউস থেকে পাকিস্তানকে নিন্দার সুরে বলেছিলেন, ‘বন্ধু বদলাতে পারলেও, তুমি কিন্তু কোন দিন প্রতিবেশি বদলাতে পারবে না। ইতিহাস বদলে দেওয়ার ক্ষমতা থাকলেও, তোমাদের ভূগোল বদলানোর কিন্তু কোন ক্ষমতা নেই’।
আপনি কেন এখনও অবধি বিয়ে করেননি?
এই সভায় উপস্থিত এক পাকিস্তানি রিপোর্টার মহিলা অটলজির ভাষণ শেষে তাঁকে একটি জটিল প্রশ্ন করলেও, সাবলীল ভাবে তিনি তাঁর সহজ উত্তর দিয়েছিলেন। ওই পাক রিপোর্টার মহিলা অটলজিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আপনি কেন এখনও অবধি বিয়ে করেননি? আপনি যদি চান, তাহলে আপনাকে আমি বিয়ে করতে রাজি। তবে আমার একটা শর্ত আছে, বিয়েতে আমার মুখ দেখে গোটা কাশ্মীর আমাকে উপহার দিতে হবে’।
সাবলীল ভাবে উত্তর দিলেন অটলজি
পাক রিপোর্টার মহিলার এই প্রশ্ন শুনে হাসি মুখেই তাঁর পাল্টা জবাব দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বিন্দুমাত্র উত্তেজিত না হয়ে হাসি মুখেই তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমি বিয়ে করতে রাজি। তবে বিয়ের পন ও যৌতুক হিসেবে পুরো পাকিস্তানটাই যে আমার চাই’।