ঐতিহ্য ও ইতিহাসে মোড়া পাখিরা বাড়ির পুজো।

Published On:

 

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মেঘ রোদ্দুর উকি ঝুঁকি খেলুক, যতই মেঘলা আকাশ ঝরাক বরিষ ধারা। কিন্তু তাও, বাঙালির কাছে একটাই সত্যি এখন, পুজো আসছে। আর মাত্র কয়েক দিন। তারপরই বেজে উঠবে ঢাকের বাদ্যি। তাল মেলাতে তৈরি বাঙালিও। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সেজে উঠছে মণ্ডপ, শহর কলকাতা মুড়ে যাচ্ছে আলোর রোশনাই তে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে, চলছে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। কোথাও থিম, কোথাও বারোয়ারি। কোথাও বা ঐতিহ্য মাখানো বাড়ির পুজো। থিমের দিকে ঝোঁক যতই থাকুক না কেন বাড়ির পুজোর ঐতিহ্য মাখা গন্ধর মেজাজ থাকে আলাদা রকম। বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা এইসব বনেদি বাড়ির পুজোয় থাকে নানা ইতিহাস, নানান ঘটনার সাক্ষী থাকে এইসব বাড়ির পুজো। থাকে আবেগে জড়ানো পুজোর টান।

এমনই এক ঐতিহ্য বাহী পুজো পাখিরা বাড়ির পুজো। এই বাড়ির ঠাকুর দালানে আনাচে কানাচে এখন  বাজছে  আগমনীর সুর। ৭০ বছর আগে এই পুজো শুরু করে বেচারাম পাখিরা। কিন্তু মাঝে হঠাৎ ই এই বাড়ির পুজো বন্ধ হয়ে যায়। কোনো একটি অনির্দিষ্ট কারণেই হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় এই বাড়ির পুজো। কিন্তু মায়ের হয়ত এই বাড়ির পরিবেশের সাথে সখ্যতা হয়ে গিয়েছিল। তাই পাখিরা বাড়ির বড় বউ কে দেবী স্বপ্নাদেশ দেয়। একুশ বছর আগে এক শরতের ভোরে স্বপ্নাদেশ পায় এই বাড়ির বড় বউ অর্চনা পাখিরা। একদিন তিনি স্বপ্নে বড় লাল ফুল স্বপ্নে দেখেন।তারপরই ঠিক হয়, আবার দুর্গাপুজো শুরু হবে বাড়িতে। আগেই শুধুই লক্ষি সরস্বতী পুজো হত পাখিরা বাড়িতে। কিন্তু তারপর শুরু হয় মায়ের পুজো। সে অনেক আগের কথা,পুজোর দিনগুলিতে গান বাজনার আসর বসতো পাখিরা বাড়িতে।সেই অনুষ্ঠানে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, রামকুমার বাউল এর মতন ব্যাক্তিরা। এখন সেই জাকজমোক না থাকলেও পুজোর কটা দিন বাড়ির সব সদস্যদের নিয়ে হইহুল্লোড় এর আসর বসে পাখিরা বাড়িতে।

X