বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জম্মু কাশ্মীরের হান্দওয়ারায় একাউন্টারের পর ভারতের (India) জবাবি পদক্ষেপের ভয়ে পাকিস্তানে (Pakistan) আতঙ্কের মহল সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই কারণে পাকিস্তানের বায়ুসেনা নিজেদের সীমান্তে টহলদারি বাড়িয়ে দিয়েছে। উল্লেখ্য, ২রা মে-তে হওয়া এনকাউন্টারে কর্নেল আশুতোষ শর্মা সমেত পাঁচ ভারতীয় জওয়ান শহীদ হয়েছেন।
সরকারি সুত্র অনুযায়ী, পাকিস্তান এই এনকাউন্টারের পরেই সীমান্তে টহলদারি বাড়িয়ে দিয়েছে, আর ভারতও সেই ব্যাপারে ভালো করেই জানে। সরকারের সুত্র জানায়, এনকাউন্টারে জওয়ানদের শহীদ হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তান এখন জবাবি হামলার ভয়ে দিন কাটাচ্ছে। আর সেই কারণে, পাকিস্তানি বায়ুসেনার এফ-১৬ আর জেএফ ১৭ যুদ্ধ বিমান সীমান্তে টহল দিচ্ছে। ভারতীয় সেনাও লাগাতার সার্ভিল্যান্স সিস্টেম দিয়ে তাদের উপর নজর রাখছে।
ভারত হান্দওয়ারায় ঘটনার পিছনে সরাসরি পাকিস্তানে হাত থাকার কথা বলেছে। আর এরপরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ট্যুইট করে ভারতের অভিযোগ খারিজ করে দেয় আর বলেন, এটা ভারতের অপপ্রচার। ইমরান খান ট্যুইট করে লেখেন, আমি পাকিস্তানকে নিশানা করা ভারত দ্বারা সমস্ত মিথ্যে অভিযোগের ব্যাপারে গোটা বিশ্বকে পূর্বাভাস দিতে চাই। ভারত দ্বারা এলওসি দিয়ে অনুপ্রবেশের তাজা অপরাধ এই অভিযোগেরই একটি অ্যাজেন্ডা।
সুত্র থেকে জানা যায় যে, পাকিস্তানের তরফ থেকে বিমানের গতিবিধি বেড়ে যাওয়া এটাই বোঝাই যে ভারতের তরফ থেকে সম্ভাবিত জবাবি পদক্ষেপের আগে পাকিস্তান নিজেকে সতর্ক রাখছে। তাদের মাথায় এখন এটা ঢুকে আছে যে, হান্দওয়ারা এনকাউন্টার আর কাশ্মীরে জঙ্গি গতিবিধি বাড়ার পর ভারতের তরফ থেকে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের তরফ থেকে লাগাতার কাশ্মীর উপত্যকায় হিংসা বাড়ানো হচ্ছে।
বিগত কয়েক বছরে কোন বড় জঙ্গি ঘটনার পর পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত। উদাহরণের জন্য, উরি হামলা আর পুলওয়ামা হামলার পর ভারত পাকিস্তানে পাল্টা হানা চালিয়েছিল। পুলওয়ামা হামলার পর ভারত পাকিস্তানের সীমান্তে ঢুকে বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করে জইশ এর জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছিল।