বাংলাহান্ট ডেস্ক: জল্পনা ছিলই। এ বার সমস্ত জল্পনা সত্যি করে এই প্রথম নয়াদিল্লিতে (New Delhi) শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বৈঠকে যোগ দিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল। পাকিস্তানের তিনটি বাহিনীর থেকেই প্রতিনিধি এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে খবর। SCI-এর একটি কার্যকরী দলের বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞদের মতে কাশ্মীরে আর্টিকেল ৩৭০ পুনর্বহাল করার দাবি থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে পাকিস্তান।
এ দিনের এই বৈঠকের খবরে স্বীকৃতি দিয়েছে পাক (Pakistan) বিদেশ মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, পাক আধিকারিকরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। পাক সংবাদমাধ্যমের মতে, খুব শীঘ্রই পাক বিদেশমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারত সফরে আসতে পারেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে এসসিও-কে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত। আগামী দিনেও আরও এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। এই বৈঠকটি আগামী এপ্রিল ও মে মাসে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যদিও পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জেহরা বালোচের দাবি, ওই দুই মন্ত্রীর ভারত সফরের কোনও সিদ্ধান্ত এখনও অবধি নেওয়া হয়নি। কিন্তু এদিনের এসসিও-র বৈঠকে যোগ দিয়েছিল পাক সেনার একটি প্রতিনিধি দল। উল্লেখ্য, কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রায়শই বিবাদ-বিতর্ক লেগে থাকে। সম্প্রতি পাকিস্তান কাশ্মীরের মানচিত্র প্রকাশ করেছিল। ভারত সেটিকে ভুল দাবি করে প্রতিবেশী দেশকে কড়া জবাব দিয়েছিল। একইসঙ্গে তাদের আমন্ত্রণও বাতিল করে দেওয়া হয়।
পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বালোচ বলেন, “আগামী ভবিষ্যতে কী হবে তা আমরা জানি না।” তবে এই প্রথম কোনও পাকিস্তানি আধিকারিক নয়াদিল্লিতে এসসিও বৈঠকে অংশগ্রহণ করলেন। এর আগে ভিডিও কলের মাধ্যমে পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং শক্তিমন্ত্রী এই বৈঠকে অংশহগ্রহণ করেছিলেন। পাক মিডিয়া সুত্রে খবর, শেহবাজ শরিফের সরকার ভারতের আমন্ত্রণকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এই বৈঠকে চিন ও রাশিয়াও অংশগ্রহণ করেছিল। তাই অনেকের মতে, ভারত যাতে কোনও সুবিধা না পেতে পারে, সেই কারণেই পাকিস্তান এখানে অংশগ্রহণ করেছিল।
আগামী জুন মাসে ভারতে এসসিও সামিট অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে শেহবাজ শরিফকেও আমন্ত্রণ করা হতে পারে বলে খবর। জানা গিয়েছে, ভারত ও পাকিস্তান উভয়েরই কিছু বন্ধু দেশ এই দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে। কিন্তু পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে বিশেষ সুবিধা হচ্ছে না। কিন্তু আগামী দিনে পাকিস্তানের মন্ত্রীরা ভারতে এলে দু’দেশের মধ্যে ফের সম্পর্ক মজবুত হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।