বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে মরিয়া পাকিস্তান! ইউনূসকে বিশেষ আমন্ত্রণ শরিফের

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউনূস আমলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক যতটা তলানিতে ঠেকেছে, ততটাই ওপার বাংলার (Pakistan-Bangladesh) সাথে সখ্যতা বেড়েছে পাকিস্তান-চিনের। এমনকি গত কয়েকমাসে ঢাকায় যাতায়াত বেড়েছে পাকিস্তানি-চিনা প্রতিনিধি দলের। এই আবহেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Mohammad Yunus) গিয়েছিলেন চিন সফরে।

পাকিস্তান-বাংলাদেশের (Pakistan-Bangladesh) সখ্যতা বৃদ্ধি:

চিন থেকে ফেরার পরই প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন করে পাকিস্তানে আসার আমন্ত্রণ জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সোমবার প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূূসকে ফোন করেন পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে। সেই কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বয়ং জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে শেহবাজ জানান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে ফোনে বার্তালাপ হয়েছে ইউনূসের সাথে।

আরও পড়ুন : ১৫ বার ভূমিকম্প! বদলেছে নদীর গতিপথও, ISRO-র উপগ্রহ ছবিতে ধরা পড়ল বিধ্বস্ত মায়ানমার

শেহবাজ বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান (Pakistan-Bangladesh) ভবিষ্যতে কীভাবে একযোগে কাজ করতে পারে সেই সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। পাক প্রধামন্ত্রীর আশা ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে আরও দৃঢ় হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। এমনকি দুই রাষ্ট্র প্রধানের এদিনের বার্তালাপে উঠে আসে সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার প্রসঙ্গও। রুনা লায়লা সহ বাংলাদেশের একটি সাংস্কৃতিক দলকে পাকিস্তানে অনুষ্ঠান করতে যাওয়ার আমন্ত্রণও জানান শরিফ।

Pakistan-Bangladesh friendship and invitation.

পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shahbaz Sharif) এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করি মহম্মদ ইউনূসকে। পাকিস্তান-বাংলাদেশের সম্পর্ক দৃঢ় করতে অঙ্গীকারবদ্ধ আমরা। পাকিস্তান সফরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি ড. ইউনূসকে। কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লাকে নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক দলকে পাকিস্তানে আসার আমন্ত্রণও জানাই। দুই দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আমাদের কাম্য।’

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ওপার বাংলার ক্ষমতাভার যায় নোবেলজয়ী ড. মহম্মদ ইউনূসের হাতে। ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে ক্রমেই তিক্ত হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক। অপরদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাজত্বে ঢাকার সাথে ইসলামাবাদ ও বেজিংয়ের মাখো মাখো সম্পর্ক নজর এড়ায়নি দিল্লির। এই আবহেই আবার সম্প্রতি চিন সফরে যান ওপার বাংলার প্রধান উপদেষ্টা। এরই মধ্যে ইউনূসকে পাক প্রধানমন্ত্রীর নিমন্ত্রণ নেহাতই সৌজন্য নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য মতলব, সেই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিক মহলে।

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর

X