১৯৭১-এর পর এই প্রথম! বাংলাদেশের “ভারতীয়” বন্দরে নাক গলাচ্ছে পাকিস্তান, কী পরিকল্পনা ইউনূসের?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার পাকিস্তানের জন্য বাংলাদেশের (Pakistan-Bangladesh) দরজা খুলে দিলেন মোহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনও পাকিস্তানি জাহাজ ওই দেশের মোংলা বন্দরে পৌঁছবে। জানা গিয়েছে যে, পাকিস্তানি পতাকাবাহী এই কার্গো জাহাজটি কয়েকদিন আগে করাচির কাসিম বন্দর থেকে ২৫ হাজার টন চাল নিয়ে রওনা হয়।

ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে পাকিস্তান-বাংলাদেশের (Pakistan-Bangladesh) বন্ধুত্ব:

এমতাবস্থায়, আগামী দুই-একদিনের মধ্যে এটি চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই জাহাজের ৬০ শতাংশ চাল খালাসের পর সেটি মোংলার দিকে চলে যাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মোংলা বন্দরে পাকিস্তানি জাহাজের আগমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গত বছর ভারত ওই বন্দর পরিচালনার অধিকার পেয়েছিল। এমতাবস্থায়, মোহাম্মদ ইউনূস ও শাহবাজ শরীফের বন্ধুত্বের প্রভাব ভারতের বিনিয়োগে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।

Pakistan-Bangladesh recent update.

পাকিস্তান থেকে চাল নিয়ে আসছে জাহাজ: গত মাসের শুরুর দিকে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান (Pakistan-Bangladesh) সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যার অধীনে ঢাকা পাকিস্তান ট্রেডিং কর্পোরেশনের মাধ্যমে ৫০,০০০ টন বাসমতি চাল আমদানি করবে। চুক্তি অনুযায়ী চালের প্রথম চালান বাংলাদেশে পৌঁছেছে। দ্বিতীয় চালানটি চলতি মাসের শেষের দিকে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: শুধুমাত্র এই একটি কারণেই ক্রমাগত পতন ঘটছে শেয়ার বাজারে! সামনে এল “চিন্তার খবর”

এদিকে, খুলনাতে স্থিত নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের উপ-নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রজিৎ সরকার জানান, মোংলা বন্দরে ২৫ মেট্রিক টন চালের ৪০ শতাংশ খালাস করা হবে। খুলনা জেলার সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানান, বয়রা ও মহেশ্বরপাশার কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামে ৪৭ হাজার মেট্রিক টন চাল রয়েছে। তিনি আরও জানান, ২ টি গুদামের ধারণক্ষমতা ১ লাখ মেট্রিক টন।

আরও পড়ুন: সব হম্বিতম্বি শেষ! ভারতের সাথে চ্যালেঞ্জ নিয়ে এবার মুখ লুকোচ্ছে পাকিস্তান, মাথায় হাত শরীফের

মোংলা বন্দরে ভারতের বিনিয়োগ: জানিয়ে রাখি যে, গত বছরের জুলাই মাসে, বাংলাদেশের (Pakistan-Bangladesh) বৃহত্তম বন্দর মোংলায় একটি টার্মিনালের পরিচলন ক্ষমতা অর্জন করে ভারত। যেটি একটি কৌশলগত বিজয় অর্জন হিসেবে বিবেচিত হয়। ইরানের চাবাহার এবং মায়ানমারের সিত্তওয়েতে বিদেশি বন্দর পরিচালনার ক্ষেত্রে ভারতের সফল বিডের পরে এই পদক্ষেপ ভারতের তরফে গ্রহণ করা হয়েছিল। ওই অঞ্চলে চিনের ক্রমবর্ধমান সামুদ্রিক প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য এটি ভারতের একটি কৌশলগত সাফল্য হিসাবে দেখা হয়। কারণ চিনেরও ওই বন্দরের ওপর নজর ছিল।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর