বাংলাহান্ট ডেস্ক: অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে বেরোনোর কোনও উপায়ই খুঁজে পাচ্ছে না পাকিস্তান (Pakistan)। কোনও দেশ থেকেই কোনওরকম আর্থিক সাহায্য পাচ্ছে না তারা। তার উপর ১০০ বিলিয়ন ডলারের ঋণের বোঝা চেপে রয়েছে তাদের উপর। এই অবস্থায় কোনও দেশই তাদের পুনরায় ঋণ দিতে রাজি হচ্ছে না। এমনকী হাত গুটিয়ে নিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (IMF)। তবে এর মধ্যেই একটু স্বস্তির খবর এল পাকিস্তানের জন্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের কাছে এমন এক গুপ্তধন রয়েছে যা তাদের বাঁচাতে পারে। এই গুপ্তধন ব্যবহার করে তারা এই চরম আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানের একটি নীল অর্থনীতি রয়েছে। অর্থাৎ তাদের কাছে অনন্য এক জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা রয়েছে। যা সবরকম উপকূলীয় কার্যকলাপকে সাহায্য করতে পারে।
সমুদ্র সংক্রান্ত পরিষেবা যে কোনও দেশের অর্থনীতিকেই চাঙ্গা করে তুলতে পারে। গোটা বিশ্বে তিন বিলিয়নেরও বেশি মানুষ জীবিকার জন্য সমুদ্রের উপর নির্ভর করেন। তেল, গ্যাস ও পুননর্বীকরণ শক্তি ছাড়াও শিপিং, মেরিটাইম, কৃষি, মৎস চাষ এবং পর্যটনের জন্য ব্যবহার করা হয় সমুদ্রকে। এই সবকিছু মিলিয়েই নীল অর্থনীতি তৈরি হয়। এই নীল অর্থনীতির ব্যবহার করেই পাকিস্তান তাদের অর্থনৈতিক, ভূ-রাজনৈতিক এবং ভূ-অর্থনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করতে পারে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের অবস্থা দিন দিন আরও খারাপের দিকে এগোচ্ছে। পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম শিল্প ধ্বংসের মুখে বলে সতর্ক করেছে তেল সংস্থাগুলি। বিদেশি মুদ্রার ঘাটতি এবং পাক রুপির মূল্যের অস্বাভাবিক পতনের ফলে বাণিজ্য ব্যয় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এই কারণেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের আমদানি করতে পারছে না পাকিস্তান। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্ত অনুযায়ী ডলারের উপর থেকে সীমা তুলে নিয়েছে সরকার।
বর্তমানে ১ ডলারের মূল্য ২৭৬.৫৮ পাক রুপির সমান। আইএমএফ পাকিস্তানকে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থানীয় মুদ্রার জন্য বাজার-নির্ধারিত বিনিময় হার এবং জ্বালানি ভর্তুকি তুলে নেওয়া। পাক সরকারও ইতিমধ্যেই আইএমএফ-এর দেওয়া দু’টি শর্তই মেনে নিয়েছে। ফলে পাকিস্তানে জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে নতুন গুপ্তধনটি ব্যবহার করতে পারলে তারা এই আর্থিক দূরবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারবে।