বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে ভারতের যত ধরনের বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে সেই সবকিছু মিটিয়ে ফেলতে চাইছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পুরো প্রক্রিয়া আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) বিধানসভার মুজফফরাবাদে “কাশ্মীর সংহতি দিবস” উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন শাহবাজ শরিফ।
পাকিস্তানের (Pakistan) নয়া পদক্ষেপ
সেখানেই জাতিসংঘকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভারতের (India) পূরণ করার পাশাপাশি আলোচনা শুরু করা উচিত বলে জানালেন তিনি। প্রতিবছর পাকিস্তানি অনুষ্ঠান ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ পালন হয়ে থাকে। এই বছরের বার্ষিক অনুষ্ঠানে এসে শাহবাজ শরিফ বলেন, “আমরা চাই কাশ্মীরসহ সব সমস্যার সমাধান হোক আলোচনার মাধ্যমে।”
আরোও পড়ুন : লেডিস স্পেশাল! এবার রাজ্যে স্কুল ছাত্রীদের জন্য চালু হচ্ছে বিনামূল্যের বাস পরিষেবা
পাক প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে আরও জানান, “ভারতের উচিত ২০১৯ সালের ৫ অগস্টের চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে জাতিসংঘে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করে আলোচনা শুরু করা।” সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল নিয়েও তিনি মন্তব্য করেন। শরিফের কথায়, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এবং রাজ্যটি দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ হয়ে যায়।
১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণাপত্র অনুসারে, পাকিস্তান (Pakistan) সফরের সময় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর পাকিস্তান সফরের সময় দেওয়া সম্মতি প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, আলোচনা হলো একমাত্র সমাধান যা ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথকে সুগম করতে পারে।
আরোও পড়ুন : প্রতিবন্ধী মহিলাদের পাল্টে যাবে জীবন! বিরাট সিদ্ধান্ত নিলেন আদানি-পুত্র জিৎ, ধন্য ধন্য করছে গোটা দেশ
একইভাবে ভারতের পক্ষ থেকেও বারবার বলা হয়েছে, সন্ত্রাস, শত্রুতা এবং হিংসামুক্ত পরিবেশে তারাও পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের মতোই সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। একই সঙ্গে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতি ভারতের মন্তব্য, দেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল জম্মু-কাশ্মীরে ও লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি। এখনো আছে এবং চিরকাল থাকবে।
৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর ভারত পাকিস্তানের সম্পর্কে আরোও সমস্যা দেখা দেয়। এদিকে ভারতের বিরুদ্ধে অস্ত্র সংগ্রহ করার অভিযোগ আনে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সংগ্রহ করা অস্ত্র কখনোই কাশ্মীরের জনগণের ভাগ্যে শান্তি কিংবা পরিবর্তন আনতে পারবে না। নয়া দিল্লিকে বিচক্ষণ হওয়ার আবেদন জানিয়ে, শান্তিই প্রগতির পথ বলে উল্লেখ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
তাঁর কথায়, “আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান কাশ্মীরি জনগণের প্রতি তার অবিচল নৈতিক, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সমর্থন অব্যাহত রাখবে”। তিনি বলেন, “কাশ্মীর ইস্যুর একমাত্র সমাধান হ’ল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের অধীনে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার”। কাশ্মীর সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত শান্তি সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ‘প্রধানমন্ত্রী’ আনোয়ারুল হক।