বাংলা হান্ট ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও-তে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত (India) ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঠিক এই আবহেই পাকিস্তানের একটি বড় দুঃসাহস সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখার (LoC) কাছে যুদ্ধ মহড়া চালিয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে, ওই সময়ে একটি সরাসরি গুলি চালানোর মহড়া সম্পন্ন হয়েছিল। যেখানে আসল এবং ভারি অস্ত্র ও ট্যাঙ্ক ব্যবহার করা হয়েছিল।
ভারতের (India) সীমান্তের কাছে লাইভ ফায়ারিংয়ের অনুশীলন পাকিস্তানের:
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত (India) যখন থেকেই সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে, তখন থেকেই পাকিস্তান ভীত রয়েছে এবং দিনরাত ভারতের আক্রমণের আশঙ্কা করছে। এমনটাও হয়েছে, পাকিস্তানের মন্ত্রীরা মধ্যরাতে মিডিয়াকে ফোন করে দাবি করছেন যে, “ভারত যেকোনও সময় আমাদের ওপর আক্রমণ করতে পারে।” আবার কখনও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারতের আক্রমণের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
যদিও এবার, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আসল অস্ত্র এবং গোলাবারুদ দিয়ে সরাসরি গুলি চালানো অর্থাৎ লাইভ ফায়ারিংয়ের অনুশীলন করল। লাইভ ফায়ারিংয়ের অনুশীলন মানে আসল গোলাবারুদ দিয়ে গুলি চালানো। এটি এক ধরণের মহড়া। যা অনেক দেশ যুদ্ধের আগে নিজেদের পরীক্ষা করার জন্য করে।
পাকিস্তানি চ্যানেল জিও নিউজ পাক সেনাবাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই মহড়ার লক্ষ্য হল “শত্রুদের যেকোনও আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকা”। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই মহড়ায় সেনা জওয়ান ও অফিসাররা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে অনুশীলন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের T20 বিশ্বকাপে প্রথমবার খেলবে ১২ টি দল! কোথায় হবে ফাইনাল? জানিয়ে দিল ICC
মহড়াটি কোথায় হয়: পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের মতে, নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে অবস্থিত কায়ানি এবং মন্ডল সেক্টরে গত ২৯ থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এই মহড়াগুলি সম্পন্ন হয়। কিছু প্রতিবেদনে টিলা টেস্ট ফায়ারিং রেঞ্জের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে পাক সেনাবাহিনী প্রায়শই অস্ত্র পরীক্ষা করে।
আরও পড়ুন: “যুদ্ধ হলে আমরা পাকিস্তানের সাথে আছি”, ঘোষণা ভারতের আরেক শত্রুর
পাকিস্তানের উদ্দেশ্য: যদিও পাকিস্তান বলেছে যে এটি কেবল একটি “রুটিন অনুশীলন”। কিন্তু, এই অনুশীলনের সময় এবং স্থান উস্কানিমূলক। ভারত (India) ইতিমধ্যেই পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত থাকার অভিযোগ করেছে। ওই হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন। যাঁদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন পর্যটক।
দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও: