বিয়ের জন্য প্রাপ্তবয়স্ক নয় ঋতুমতী হলেই হবেঃ পাকিস্তানের আদালত

আবার একবার আন্তর্জাতিক স্তরে বিপাকে পরেছে পাকিস্তান। অর্থাৎ বিপাকে আছে ইমরান খান সরকার।  পর ২০১৯-এর গত ১০ অক্টোবর খ্রিস্টান পরিবারের মেয়ে ১৪ বছরের হুমা ইউনুসকে বাড়ি থেকে অপহরণ করেন বছর আঠাশের আব্দুল জব্বার।  জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে হুমাকে বিয়ে করেন তিনি।

আর এখন মেয়েকে ফিরে পেতে সেই থেকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন হুমার বাবা ইউনিস এবং মা নাগিনা মাসিহ্ । প্রসঙ্গত  সংখ্যালঘুদের জোর করে ধর্মান্তরিত এবং অপহরণ করে বিয়ের অভিযোগে পাকিস্তান  এখন খারাপ পরিস্থিতিতে । আর দেশের সরকার  ঠিক তখনই এমন মন্তব্য করল সে দেশের একটি আদালত । প্রসঙ্গত আদালত জানিয়েছে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হলে ক্ষতি নেই, শুধু ঋতুমতী হতে ।

 

671cc6884899ebba222f6607b4b9c2ca

মানে বিয়ে করার জন্য ঋতুমতী হতে হবে এটাও একটা ট্যাগ। এই ট্যাগ কি করে দেসের আদালত দিতে পারে সেই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।  বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হুমার পরিবারের লোকজন । তাদের পরিবারের  আইনজীবী তবস্সুম ইউসুফ বলেন, ‘‘অপহরণ এবং জোর করে বিয়ে রুখতেই ২০১৪ সালে বাল্য বিবাহ রদ আইন আনা হয় সিন্ধ প্রদেশে। কিন্তু হাইকোর্টের মন্তব্য সেই আইনের পরিপন্থী। তদন্তকারীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে আব্দুলের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করছেন বলে নিশ্চিত মেয়েটির পরিবার।

এমনকি হুমার বয়স নিয়েও মিথ্যা তথ্য পেশ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’’ সব মিলিয়ে কোর্ট কি রায় দিতে চলছে সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে অনেকের মনে। এর আগেও জোর করে অন্য ধর্ম চাপিয়ে বিয়ে করার মতন ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানে। আর এই ঘটনার শিকারে তাকেন মুলত সঙ্খ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন। তাদের ওপর এই ধরনের অত্যাচার কোনো নতুন কিছু না। এরকম আগেও হয়েছে কিছু ঘটনা প্রকাস্যে এসেছে। কিছু কিছু আবার প্রকাশ্যে আসেনি।

সম্পর্কিত খবর