বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাঞ্জাবের মোহালি শহরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার দুইদিন পরে, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) সতর্কবার্তা দিয়েছে যে, পাকিস্তানের গুপ্ত এবং কুখ্যাত স্পাই এজেন্সি ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (আই.এস.আই) আরেকটি আতঙ্কবাদী সংস্থা নির্মাণ করেছে ভারতবর্ষে হামলা পরিকল্পনা করার জন্য, যার নাম হল লস্কর-এ-খালসা।
সূত্র অনুসারে, আইবি সরাসরি একটি সতর্কবার্তা প্রেরণ করেছে যেখানে স্পষ্ট উঠে আসছে এই খবর যে, লস্কর-এ-খালসা সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ ভাবে সক্রিয় এবং ভারতবর্ষে আক্রমনের পরিকল্পনায় তারা সুযোগ্য কর্মী নিয়োগ করছে। আইবি মাধ্যমে আরও জানা যায় একজন পাকিস্তানি ইন্টেলিজেন্স অপারেটিভ “উমর খালিস্তানি” ছদ্মনাম ব্যবহার করে নতুন নিয়োজিত কর্মীদের ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছে।
ভারতের বিভিন্ন স্থানে মূলত জম্মু-কাশ্মীরে নাশকতা মূলক আক্রমণের উদ্দেশে আফগানদের দলে টানছে। তাদের লক্ষ্য কাশ্মীরে যে দেশবিরোধী শক্তিগুলি আছে তাদের একত্র করা এবং পাঞ্জাব ও কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের আবেগের সুযোগ নেওয়া।
উল্লেখ্য, ৯ই মে মোহালিতে অবস্থিত পাঞ্জাব পুলিশ ইন্টেলিজেন্স হেডকোয়ার্টার্সে আচমকাই হামলা হয়। ব্যবহার করা হয় রকেট প্রপেলড গ্রেনেড। কিছু সন্দেহজনক মানুষকে প্রত্যক্ষ করা যায় রাত আটটার আশেপাশে। হেডকোয়ার্টার্সের গেটে যে সুরক্ষাকর্মী ছিলেন তিনি ভেতর থেকে দুটি শব্দ শুনতে পান, প্রথমটি একটি গুলির শব্দ, দ্বিতীয়টি গ্রেনেডের পতনের শব্দ। তদন্ত সূত্রে জানা যায় দুজন সন্দেহভাজন পুরুষকে লক্ষ্য করা গেছে যারা সুইফট গাড়িতে করে এসেছিল, বিল্ডিংয়ে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকার দরুন পুলিশ আশেপাশের রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবার কাজ করছে।
ফরেনসিক সূত্রে জানা যায় যে গ্রেনেডটি ব্যবহার করা হয়েছিল সেটি হল আরপিজি-২২, প্রয়োজনে খুব অল্প সময়ে এটি প্রস্তুত করা যায়, এর ক্ষমতা ইটের ভিতর ১.২ মিটার, বর্মের ৪০০ মিলিমিটার অথবা একটি রিইনফোর্সড কংক্রিটের ভিতরে এক মিটার অব্দি প্রবেশ করতে পারে।
বিগত কয়েক মাসে পাঞ্জাব পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার করেছে। এটি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে রাজ্যজুড়ে খালিস্তানি সংগঠকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অনেক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন পূর্ববর্তী ঘটনাটি আসন্ন কোন বড় মাপের আক্রমণের একটি নমুনা মাত্র।