বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) সমস্যা সমাধান হওয়ার নামই নিচ্ছে না। বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে শাহবাজ শরিফের (Shahbaz Sharif) দেশের সমস্যা। একের পর এক জিনিসের ভাণ্ডার ফুরিয়ে আসছে। যত দিন যাচ্ছে ততই পরিষ্কার হচ্ছে যে শাহবাজ শরিফ তাঁর দেশকে আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। পাশাপাশি, বিশ্বের কোনও দেশই পাকিস্তানকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে না। ফলে আরও সমস্যায় পড়েছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ।
মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) চরমে পৌঁছে গিয়েছে। ফলে দেশে আটা-ময়দা, চাল-ডাল, দুধ-মুরগির মাংস, পেট্রোল-ডিজেল-গ্যাসের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর জেরে এই জিনিসগুলির দামও আকাশ ছুঁয়েছে। পাকিস্তানে এখন চায়ের দামও আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। তাই সাধারণ পাকিস্তানিদের প্লেট থেকে রুটির পর উধাও হচ্ছে চা-ও (Tea shortage)।
পাকিস্তানের মানুষের কাছে রুটি প্রধান খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু অনেক খাদ্যদ্রব্যই অন্য দেশ থেকে আমদানি করে তারা। কিন্তু বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারের যা অবস্থা, অনেকদিন থেকেই সেই সব বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যেই দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ২৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। একদিকে ঘাটতি, তার উপর মুদ্রাস্ফীতির হার অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় জিনিসের দাম প্রচণ্ড হারে বেড়ে গিয়েছে।
বর্তমানে চা আমদানি করার মতো ক্ষমতাও নেই জিন্নার দেশের কাছে। গত ১৫ দিনে অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে চায়ের দাম। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানে চায়ের দাম কেজিপ্রতি ১৬০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। কয়েক দিন আগে অবধি ১১০০ টাকা কিলোয় বিক্রি হচ্ছিল। স্থানীয় বিক্রেতাদের মতে, একটি নির্দিষ্ট চায়ের ব্র্যান্ড ১৭০ গ্রাম চায়ের দাম ২৯০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করে দিয়েছে।
পাকিস্তানের চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (FPCCI) চায়ের জন্য স্থায়ী কমিটির কনভেনার জীশান মাকসুদ চায়ের ঘাটতির সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। এছাড়াও আগামী মার্চ মাসে ঘাটতি আরও বেশি হবে বলে সাবধান করেছেন তিনি। একইসঙ্গে রমদান মাসে এক কেজি চায়ের দাম ২৫০০ টাকা হয়ে যেতে পারে বলে তাঁর অনুমান।
সে দেশে গমের ঘাটতির পর চায়ের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর একটি বড় কারণ বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার কমে গিয়েছে। কারণ পাকিস্তান চা আমদানি করে থাকে। জীশান মাকসুদ আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের যা অবস্থা, তাতে আমদানি করা চায়ের দাম কেমন হতে পারে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তার কারণ আগামী ছ’মাসে পাক রুপির তুলনায় ডলারের দাম কেমন হবে তা বলা যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, পাকিস্তান সবচেয়ে বেশি পরিমাণ চা কেনিয়া (Kenya) থেকে আমদানি করে। যার প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার দাম পড়ে।