বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। আর সেই উত্তজনার মাঝে পাকিস্তান বেশ কয়েকবার ভারতে পরমাণু হামলার হুমকিও দিয়ে ফেলে। কিন্তু ভারত তাঁদের সিধান্তে কায়েম থাকার জন্য এবং বিদেশে বারবার বেইজ্জত হওয়ার পর অবশেষে পাকিস্তান লাইনে আসা শুরু করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, তাঁরা প্রথমে পরমাণু অস্ত্রের ব্যাবহার করবে না।
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলে, আমরা কখনো প্রথমে যুদ্ধের সূচনা করব না। ভারত আর পাকিস্তান দুটোই পরমাণু শক্তিধর দেশ, আর এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়লে গোটা বিশ্বের জন্য বিপদ বাড়বে। ইমরান খান পাকিস্তানের গভর্নর হাউসে শিখ সম্প্রদায়কে সম্বোধিত করার সময় এই কথা বলেন। ইমরান খান ভালো মানুষী দেখিয়ে বলেন, যুদ্ধ কোন সময় কোন সমস্যার সমাধান হতে পারেনা। ইমরান খান গভর্নর হাউসে বলেন, আমি ভারতকে বলতে চাই যে, যুদ্ধ কোন সময় সমস্যার সমাধান হতে পারেনা। যুদ্ধে যারা জয়ী হয়, তাঁদেরও পরাজয় স্বীকার করতে হয়। যুদ্ধ আরও অনেক সমস্যার জন্ম দেয়।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রথমে ভেবেছিলেন যে, যুদ্ধ আর পরমাণু হামলার হুমকি দিলে ভারত তাঁদের সিদ্ধান্ত বদল করে, জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া রদ করে দেবে। কিন্তু ভারত পাকিস্তানের হুমকিকে পাত্তা না দেওয়াতে পাক প্রধানমন্ত্রী নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত বদল করেন। ইমরান খান এখন বোঝাতে চাইছেন যে, ভারত পাকিস্তানকে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু ভারতের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোন নেতা অথবা মন্ত্রী পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করা অথবা পাকিস্তানে পরমাণু হামলার হুমকি দেয়নি। পাকিস্তান নিজেই যুদ্ধ আর পরমাণু হামলার হুমকি দিয়ে এখন সাধু সাজার চেষ্টা করছে।
আর এর মধ্যে সবার আগে নাম উঠে আসে পাকিস্তানের রেল মন্ত্রী রাশিদ খান এর। তিনিই বরাবর ভারতকে যুদ্ধে হুমকি দিয়ে আসছেন। এমনকি তিনি অক্টোবর মাসে ভারতের সাথে পাকিস্তানের যুদ্ধের ভবিষ্যৎ বানীও করেন। এবং এই রাশিদ খানই আজ ভারতকে ১২৫-২৫০ গ্রাম পরমাণু বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এছাড়াও পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার জাভেদ মিঞাদাঁদ ভারতকে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়ে আসছেন। এমনকি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও ভারতকে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছিলেন।