বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আগের রবিবার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন ভারতীয় বোলাররা। ফলস্বরূপ ম্যাচ জিতেছিল ভারত। আজ সেই বোলারদের বেশিরভাগ অংশই যেন গত রবিবারের ম্যাচের ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। শুধুমাত্র রবি বিশ্নই বাদে বাকি প্রত্যেকে এমন অনিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেন যার পুরোপুরি সুযোগটা নিলেন আসিফ আলীরা। সেইসঙ্গে তার সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করে পাকিস্তানকে আরও সুবিধা করে দেন অর্শদীপ। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে জয় পেল বাবর আজমের পাকিস্তান।
অথচ শুরুটা কিন্তু খারাপ হয়নি। আজ পাকিস্তান টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল। গত ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মনে ত্রাস সৃষ্টি করা তরুণ পেসার নাসিম শাহকে আজ বেশ ভালোভাবেই খেললেন রাহুল এবং রোহিত। কিন্তু অত্যন্ত আগ্রাসী ব্যাটিং করেও এবং ভারতের শুরুটা ভালো হলেও বড় রান করতে ব্যর্থ হলেন দুই ওপেনার। রোহিত এবং রাহুল দুজনেই মাত্র ২৮ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে আউট হন।
এরপর অপর দিক দিয়ে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ভারতীয় দল। কিন্তু নিজের উইকেটটা যেন প্রাণ দিয়ে আগলে রাখছিলেন বিরাট কোহলি। অত্যন্ত আগ্রাসী না হলেও কিছু দৃষ্টিনন্দন শট বেরিয়ে আসে তার ব্যাট থেকে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে ভারতের হিরো হওয়া হার্দিক পান্ডিয়া আজ চূড়ান্ত ব্যর্থ। কোন রান না করেই প্যাভেলিয়নে ফিরেছিলেন তারকা অলরাউন্ডার। ফলে বিরাটের দায়িত্ব যেন আরো বেড়ে গিয়েছিল।
শেষ ওভার অবধি ক্রিজে থেকে ভারতকে ১৮০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন বিরাট। ৪৪ বলে ৪ টি চার এবং একটি ছক্কা সহযোগে ৬০ রান করেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। ইনিংসের শেষ দুই বলে হ্যারিস রউফকে দুটি চার মেরে ভারতের ১৮০ গণ্ডি পেরোনোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখেননি এশিয়া কাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার তরুণ লেখক স্পিনার রবি বিশ্নই। আজ দলে ভারসাম্য রাখতে রোহিত শর্মা বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করেছিলেন। দীনেশ কার্তিক এবং আবেশ খান দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। তাদের জায়গায় দলে এসেছিলেন দীপক হুডা এবং এই তরুণ বিশ্নই। হুডা ব্যাট হাতে ১৪ বলে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি।
রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম দ্রুত ফিরে যেতে ফের চাপে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। ফখর জামানের ধীর গতির ব্যাটিং চাপ আরো বাড়িয়ে ছিল তাদের ওপর। মোহাম্মদ রিজওয়ান একদিক সামলে রাখলেও রান উঠছিল অত্যন্ত ধীরগতিতে। কিন্তু ফখর আউট হতেই ব্যাট হাতে মাঠে নেমে তাণ্ডব শুরু করেন মহম্মদ নওয়াজ। ব্যাট হাতে ২০ বলে ৪২ রানে ঝকঝকে একটি ইনিংস খেলে তিনি পাকিস্তানকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু পর পর দুই ওভারে অর্ধশতরান করা রিজওয়ান এবং নওয়াজকে ফিরিয়ে ভারত ম্যাচে ফিরে এসেছিল। কিন্তু গত ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া আসিফ আলি যেন আজ ফোন করে নেমেছিলেন ভারতের শমন সাথে নিয়েই নামবেন। ফর্মে থাকা ভুবনেশ্বর কুমারের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৮ বলে ১৬ রান এর একটি ক্যামিও খেলে পাকিস্তানকে জয়ের প্রান্তে পৌঁছে দেন তিনি। শেষ ওভারে অর্শদীপ তার উইকেট তুললেও ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে। এক বল বাকি থাকতেই পাকিস্তানকে তাদের কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দেন খুষদিল শাহ (১৪)। পাকিস্তানের কাছে হেরে শ্রীলংকা এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোর এর বাকি ম্যাচ গুলোতে নামার আগে বেশ কিছুটা চাপে থাকবেন রোহিত শর্মারা।