বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্ক (India Pakistan relations) একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। একইসঙ্গে পাকিস্তানও ভয়াবহ আর্থিক এবং রাজনৈতিক সঙ্কটে ভুগছে। এই অবস্থায় ভারতের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে রাজি হয়েছে তারা। এমনকী, সে দেশের নির্বাচনী প্রচারেও নেতারা ঢালাও প্রশংসা করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
সম্প্রতি পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল জারদারি ভুট্টো ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। যদিও তাঁর সুর খানিকটা নরম ছিল। এই মন্তব্যের পর ভারতের ব্যাপারে মুখ খোলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, তিনি ভারতের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু আরএসএস-এর আদর্শ এবং কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার কারণে তা করতে পারেননি।
সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনা প্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়াও চান যাতে দু’দেশের সম্পর্ক ভাল হোক। তিনি বলেছেন, “আমার সাড়ে তিন বছরের সময়কালে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল হোক চেয়েছিলাম। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার ফলে সেটা করতে পারিনি। এছাড়াও আরএসএস-এর আদর্শও একটা কারণ।”
ইমরান খান জানিয়েছেন, তাঁরা চেয়েছিলেন ভারত যাতে কাশ্মীর নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত বদলে নেয়। তারপর ভারতের সঙ্গে শান্তিরক্ষা নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। তিনি আরও জানান, বিজেপি-র একজন নেতা যদি চান, তাহলে দু’দেশের এই বিবাদ মিটে যাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে ইঙ্গিত করছিলেন ইমরান। কিন্তু সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নাম নেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬-তে পাঠানকোটের বায়ুসেনার ছাউনিতে হামলা চালায় পাকিস্তানি জঙ্গিরা। এর পরেই উরিতে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালিয়ে একাধিক জঙ্গি ডেরা উড়িয়ে দেয় ভারত। এর ফলে দু’দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে। এরপর জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হলে পাকিস্তান সেটা নিয়েও প্রতিবাদ করতে থাকে। সেই সময় ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়ে পাকিস্তান যেন নাক না গলায়।
একইসঙ্গে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে ততদিন আলোচনায় বসবে না যতদিন না পাকিস্তান নিজেদের জঙ্গিমুক্ত করছে। ইমরান খানের মতে, দু’দেশের আলোচনা হলে সমস্যাগুলির সমাধান পাওয়া যাবে। কিন্তু ভারত মনে করে পাকিস্তানের কাছে কাশ্মীর কখনই একটি সমস্যা নয়। কাশ্মীরের দখল করে রাখা অংশ ভারতকে ফিরিয়ে দিলেই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্পর্ক ভাল হতে পারে বলে মনে করে ভারত।