বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নাক গলানোর স্বভাব পাকিস্তানের (Pakistan) চিরকালের। তা সে বন্ধু দেশের হোক কিংবা শত্রু দেশের। হাজার বার অপমানিত হওয়া সত্ত্বেও, যে কোন বিষয়ে সবজান্তা ভাবটা এখনও গেল না পাক সরকার ইমরান খানের। ভারতের রাম মন্দিরের পর এবার বাবরি মসজিদ (Babri Masjid) নিয়ে নানারকম মন্তব্য করতে শুরু করেছেন পাক সরকার ইমরান খান।
বাবরি মসজিদ মামলার রায়
১৯৫২ সালের ৬ ই ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় অভিযুক্ত সাবস্ত হয়েছিলেন সমাজের ৩২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। সম্প্রতি সেই ঘটনার রায় ঘোষণা করে CBI-এর বিশেষ আদালত এই ৩২ জনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে। কোর্ট জানায়, দোষীদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত কোন যোগ্য প্রমান না থাকায় তাদের বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়।
এই মামলায় বিজেপির বরিষ্ঠ নেতা লালকৃষ্ণ আডবানী, মুরুলি মনোহর যোশী এবং উমা ভারতী সহ বেশ কয়েকজনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়। CBI-এর বিশেষ আদালত এই ঘটনার রায়ে জানিয়েছে, মসজিদের কাঠামো ভাঙ্গা হলেও, তা পূর্ব পরিকল্পিত কোন ঘটনা হয়। হটকারিতায় নেওয়া সিদ্ধান্ত।
পাকিস্তানের টিপ্পুনি
নিজের ঘরের খবর না নিয়ে পাকিস্তান প্রতিবেশি দেশের হাঁড়ির খবর নিয়ে সর্বদা মুখিয়ে থাকে। ভারতের এই ঘটনায় শুধুমাত্র খবর নেওয়াই নয়, সেইসঙ্গে টিপ্পুনি কাটতেও বাদ রাখেননি পাক সরকার। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যে পূর্ব পরিকল্পিত রথযাত্রা এবং বিজেপি নেতাদের উপস্থিতিতে মসজিদের কাঠামোতে আঘাত হানা হয়, সেই লাইভ ঘটনা সম্পর্কে গোটা বিশ্ব অবগত হলেও, তার রায় বেরোতে ৩০ বছরের বেশি সময় লেগে গেল। এর দ্বারা প্রমাণিত হয়, হিন্দুত্ববাদের ভারতে সঠিক রায় বেরোন সম্ভব নয়’।