বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানে (Pakistan) করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ১১ হাজার পার করেছে। আর এখনো পর্যন্ত ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এরপরেও সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ। প্রসঙ্গত, করোনার কারণে পাকিস্তানে লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এই লকডাউনে অনেক ছাড়ও দেওয়া হয়েছে, আর সেটার বিরোধিতা করেছে ডাক্তাররা। পাকিস্তানে লকডাউনের সময় স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও মসজিদ আর সার্বজনীন ভাবে নামাজ পড়া বন্ধ নেই।
পাকিস্তানে চিকিৎসকরা জানিয়েছে যে, আগামী চার সপ্তাহ করোনার ভাইরাসের মহামারী কারণে পাকিস্তানের অবস্থা খুব খারাপ হতে চলেছে। ওনারা জানিয়েছেন, এখন দেশে যেই লকডাউন চলছে সেটা লকডাউনের নামে ইয়ার্কি হচ্ছে। এই লকডাউনে কোন কাজ হবেনা। দেশে আগামী একমাস কঠোর ভাবে লকডাউন পালন করা জরুরী। পাকিস্তানি মিডিয়াতে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের কিছু বরিষ্ঠ চিকিৎসকরা প্রেস কনফারেন্স করে এই কথা জানিয়েছেন।
তাঁরা জানিয়েছেন যদি কড়া ভাবে দেশে লকডাউন জারি না করা হয়, তাহলে পাকিস্তানে ১৫ মে পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭০ হাজার পৌঁছাবে। তখন দেশে সঙ্কটজনক রোগীদের জন্য কমপক্ষে ৭ হাজার ভেন্টিলেটরের দরকার পড়বে। আর দেশে এর অর্ধেক ভেন্টিলেটরই আছে।
চিকিতসকেরা দেশে লকডাউনের দেওয়া ছাড় নিয়ে কড়া আপত্তি জাহির করে বলেছে, এর পরিণাম খুব গম্ভীর হবে। ওনারা বলেছেন, মসজিদে সার্বজনীন নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া উচিৎ ছিল না। কোন শপিং মল, সুপার মার্কেটে কোন ভাবেই এক থেকে দুমাস ভিড় জড় হওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিৎ নয়।
উল্লেখ্য, এর আগে পাকিস্তানের ২০ জন ডাক্তার উলেমা আর সরকারকে চিঠি লিখে রমজান মাসে মসজিদে সার্বজনীন নামাজ পড়ার অনুমতি ফেরত নেওয়ার দাবি করেছে।