ভিখারী হয়ে পড়া পাকিস্তান দাঁড়ালো মালয়েশিয়ার পাশে, বললো- আমরা পাম অয়েল কিনে মালয়েশিয়ার অর্থনীতি মজবুত করে দেব

কিছুদিন আগে যখন পাকিস্তানের অর্থনিতী ক্রমে নিম্নের দিকে যাচ্ছিল, সেই মূহুর্তে পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী ইমরান খান ব্যস্ত ছিলেন কাশ্মীরের লোভে ইসলামী উম্মাহকে ক্ষতিপূরণ দিতে। কিছুদিন আগে ভারতে রপ্তানি কমে মালয়শিয়ান পাম তেলের। সেই সুযোগে পাকিস্তানি প্রধান মন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন মালয় থেকে পাম তেল কেনার । যার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মালয়শিয়ান অর্থনিতী অনেকটা সচল হবে বলে তার ধারনা। পি এম ইমরান খান নিজের মালয়শিয়া ভ্রমণের দরুন বলেন যে “ এটা ঠিক, বিশেষত যখন থেকে ভারত কাশ্মীরের বিষয়বস্তু তুলে ধরে , তাকে সাহায্য করার জন্য মালয়শিয়াকে হুমকি দেয় , তখন তারা বলেছে যে সমস্ত পাম তেল আমদানি তারা বন্ধ করিয়ে দেবে”।

তিনি আরো বলেন যে – “পাকিস্তান তার যথাসাধ্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্ঠা করবে”। ভারতীয় আমদানি সম্পর্কে এই ক্ষতিপূরণের কথা বলে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজেকে উপহাস্য পাত্র হিসেবে উপস্থাপন করেন বলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা । মালয়শিয়া পাম তেল পরিষদের মতে আগের বছর ভারত ৪.৪ মিলিয়ান টন পাম তেল কিনেছিল যেখানে পাকিস্তানের পাম তেল ক্রয়ের রাশি কেবল ১.১ মিলিয়ন টন। পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি এই বছরের জানুয়ারি মাসে বেরেছে ১৪.৬ শতাংশ যা আগের কিছু মাসে ১২.৬ শতাংশ ছিল। এই মুদ্রাস্ফীতির হার ১২ বছরের সর্বাধিক।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে , পাকিস্তান তার লক্ষ্য মাত্রার থকে ৩.৩ শতাংশ কম প্রবৃদ্ধি ঘটিয়েছে। এর হ্রাসের কারন পাকিস্তান তথা ইমরান খানের সরকারের ঘরোয়া কিছু সমস্যা। সে কারনে হ্রাস দেখতে হয়েছে প্রায় সব দিকেই।

অপরদিকে, ভারতের ধারা ৩৭০ এবং সি এ এ এর কৌতুক করেছিলেন মালয় প্রধানমন্ত্রী মহাথির , যা ভারতের ব্যক্তিগত বিষয়। সেই কারনে ভারত পাম তেল আমদানি বন্ধের মাধ্যমে মালয়শিয়ের অর্থনিতীকে সম্পূর্ন ভাবে বিধ্বস্ত করতে বাধ্য হয়েছিল।


সম্পর্কিত খবর