বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন পাকিস্তানের (Pakistan) অবস্থা দিনদিন খারাপ হয়েই চলেছে। অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছে যে, পাকিস্তান সরকার নিজেদের কর্মীদের বেতন পর্যন্ত দিতে পারছে না। এখনও পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের মনের মধ্যেই এই কথা লুকিয়ে রেখেছিলেন, কিন্তু এবার তা প্রকাশ করে তাঁদের দুঃখ বিশ্বের সামনে তুলে ধরলেন। আসলে, সার্বিয়ায় পাকিস্তানের দূতাবাসের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ট্যুইট গোটা বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের পরিস্থিতির কথা বর্ণনা করে দিয়েছে।
সার্বিয়ার দূতাবাস থেকে করা ট্যুইটে লেখা হয়, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিজের সমস্ত রেকর্ড ভেঙেছে। এমতাবস্থায় ইমরান খানের (Imran Khan) কাছ থেকে আর কতদিন আশা করা যায় যে আমরা সরকারি কর্মচারীরা চুপ থাকব এবং গত তিন মাস বেতন না দিয়ে কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের সন্তানদের স্কুলের বেতন পর্যন্ত দিতে পারছি না। বেতন না দিতে পারার কারণে তাঁদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।”
পাশাপাশি আরও একটি ট্যুইট করা হয়েছে, যেখানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ট্যাগ করে লেখা হয়েছে যে, ‘আমাদের ক্ষমা করে দিন, আমাদের কাছে আর কোনও বিকল্প নেই।” পাশাপাশি ট্যুইটে একটি ছবিও দেওয়া হয়েছে, যেখানে লেখা হয়েছে, ‘আপনরা চিন্তা করবে না।”
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সর্বসমক্ষে স্বীকার করেছিলেন যে, দেশ চালানোর মতো টাকা নেই সরকারের কাছে। তিনি এও বলেছিলেন যে, সরকারের যেই প্রকল্পগুলো চলছে, সেগুলোকেও চালানোর মতো টাকা নেই। এমনকি কর্মীদের দেওয়ার মতো বেতনও নেই। ইমরান খান এও স্বীকার করেছিলেন যে, পাকিস্তানকে চালানোর জন্য এখন বাধ্য হয়ে অন্য দেশের থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে।
সার্বিয়ার দূতাবাসের এই ট্যুইট নিয়ে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, সার্বিয়ার দূতাবাসের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছিল।