বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার পাকিস্তান (Pakistan) সরকারের ২০২৪-২৫ সালের ইকোনমিক সার্ভে রিপোর্ট সামনে এসেছে। যেটিতে দেশটির শোচনীয় অর্থনীতির স্পষ্ট ছবি ফুটে উঠেছে। বর্তমানে পাকিস্তানের মোট ঋণ ৭৬,০০০ বিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে দেশীয় ব্যাঙ্কগুলির ৫১,৫০০ বিলিয়ন ডলার এবং বিদেশী ঋণ ২৪,৫০০ বিলিয়ন ডলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এমতাবস্থায়, পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রত্যেক পাকিস্তানি নাগরিকের ঋণের পরিমাণ ৩ লক্ষ টাকারও বেশি।
শোচনীয় অবস্থা পাকিস্তানের (Pakistan):
এদিকে, অর্থনীতির এত ভয়াবহ পরিস্থিতি সত্বেও পাকিস্তান (Pakistan) সরকার এবং ওই দেশের সেনাবাহিনী ভারতের বিরুদ্ধে পরিকল্পনায় ব্যস্ত রয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের নাগরিকরা খাদ্য, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং চাকরির জন্য লড়াই করছে। যদিও, পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব দাবি করেছেন যে, দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে GDP বৃদ্ধির হার ২.৭ শতাংশে পৌঁছবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালে পাকিস্তানের (Pakistan) GDP বৃদ্ধির হার ছিল -০.২ শতাংশ। দেশের সামগ্রিক ঋণ GDP-র দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি। এই কারণে, বার্ষিক আয়ের একটি বড় অংশ কেবল সুদ পরিশোধেএ ব্যয় হচ্ছে। এদিকে, রফতানির পরিমাণ হল ২৭.৩ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানির পরিমাণ ৪৮.৬ বিলিয়ন ডলার। তাই এটি ঋণের পুনরুদ্ধার নয়, বরং ঋণের একটি গোলকধাঁধা হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকারি অফিসে ব্যবহৃত হোক এই দুই টেলিকম সংস্থার পরিষেবা! রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিল DoT
IMF এবং বিদেশের ওপরে ভরসা: জানিয়ে রাখি যে, পাকিস্তানের (Pakistan) বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার (১৬.৬৪ বিলিয়ন ডলার) সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এর বেশিরভাগইIMF তথা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, বিশ্বব্যাঙ্ক এবং আরবের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের ফলাফল। IMF-এর পরামর্শে ২৪ টি সরকারি কোম্পানিকে বেসরকারিকরণের পরিকল্পনা রয়েছে। দাবি করা হয়েছে যে, এর ফলে বার্ষিক ঘাটতি ৮০০ বিলিয়ন ডলার কমবে। কিন্তু আগামী সময়ে এর ফলে দেশে কর্মসংস্থান হ্রাস পাবে। পরিষেবা ব্যয়বহুল হবে এবং সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ফুটবল দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্স! AFC এশিয়ান কাপের কোয়ালিফায়ারে হংকং-এর কাছে হার
ভারত-বিরোধী অবস্থান; অভাবের মধ্যেও অহংকার বজায় রাখা: বর্তমান সময়ে যেখানে পাকিস্তান (Pakistan) সরকার এবং সেনাবাহিনীর নিজস্ব দেশ পরিচালনা করার মতো নীতি এবং সম্পদ নেই, সেই সময়েও তারা পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) তাদের সেনাবাহিনী বৃদ্ধি করছে। তারা ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং বিবৃতি জারি করতে ব্যর্থ রয়েছে। এগুলি আসলে দেশের জনগণের মনোযোগ ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং অর্থনৈতিক সঙ্কট সরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি রাজনৈতিক ভান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও: