সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর পাকিস্তান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পেল বড় দায়িত্ব! ভারতের বন্ধুর ওপর রাখবে নজর

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পাকিস্তান (Pakistan) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) ১৯৮৮ কমিটির সভাপতিত্ব পেয়েছে। এই কমিটি তালিবানদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা শাসনের ওপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। এদিকে, পাকিস্তান এমন এক সময়ে এই দায়িত্ব পেয়েছে যখন তার বন্ধু চিন তালিবান শাসিত কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে। গত মাসেই চিন তালিবান ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করেছিল। সবার প্রথমে ET তাদের রিপোর্টে জানিয়েছিল যে, পাকিস্তান ১৯৮৮ কমিটির সভাপতিত্বের দিকে নজর রাখছে। ভারতের বন্ধু রাশিয়ার পাশাপাশি গায়ানাও এই কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের পদে রয়েছে। গত এক দশকে গায়ানার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বেড়েছে।

পাকিস্তান (Pakistan) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পেল বড় দায়িত্ব:

এদিকে, ইউরোপে ভারতের কৌশলগত অংশীদার ডেনমার্ক, জাতিসংঘের নিরাপত্তা কমিটি ১২৬৭ আল কায়েদা নিষেধাজ্ঞা কমিটির সভাপতিত্ব পেয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া এবং সিয়েরা লিওন এর ভাইস-চেয়ারম্যান। এছাড়াও আলজেরিয়া ১৩৭১ সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির সভাপতিত্ব করবে। পাশাপাশি রাশিয়া, ফ্রান্স ও পাকিস্তান (Pakistan) এর ভাইস-চেয়ারম্যান হবে। আলজেরিয়া ১৫৬৬ কাউন্টার-টেরোরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের সভাপতিত্বও পেয়েছে, যেখানে রাশিয়া এবং ফ্রান্স ভাইস-চেয়ারম্যান হয়েছে।

ভারতের ওপর পাকিস্তানের সভাপতিত্বের প্রভাব: ইতিমধ্যেই সূত্র ET-কে জানিয়েছে যে, পাকিস্তান (Pakistan) ১৯৮৮ সালের কমিটির সভাপতিত্ব পেলেও ইসলামাবাদ যা চায় তা পেতে পারবে না। কারণ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ৫ স্থায়ী সদস্যের ভেটো ক্ষমতার কারণে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স বহাল থাকবে। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে যেকোনও পদক্ষেপের অনুমোদনের জন্য ৯ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। যদিও ভারত UNSC-এর সদস্য নয়, তবে, ১৯৮৮ কমিটি বা সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির চেয়ারপার্সন হিসেবে পাকিস্তানের পরিকল্পনাকে দুর্বল করার জন্য তার প্রভাব বজায় রয়েছে। বিশেষ করে UNSC-র বিভিন্ন স্থায়ী সদস্য এবং ডেনমার্কের মতো অস্থায়ী সদস্যদের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে।

Pakistan gets big responsibility in the UN Security Council.

পাকিস্তানের পদক্ষেপ সম্পর্কে ভারতের কাছে ধারণা রয়েছে: এদিকে, জাতিসংঘ বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাকিস্তানের (Pakistan) পদক্ষেপ রুখতে ফ্রান্স, রাশিয়া, ডেনমার্ক এবং আলজেরিয়ার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করবে ভারত। পাকিস্তান বর্তমানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য এবং চলতি বছরের জুলাই মাসে কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করার সুযোগ পাবে। রোটেশনের ভিত্তিতে এই সভাপতি পদ অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট পদকে ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে পারে।

আরও পড়ুন: রাতে IPL চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেই সকালে বিরাট যা করলেন…. ফের আবেগে ভাসলেন অনুরাগীরা

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ১৯৮৮ কমিটির উদ্দেশ্য হল তালিবানের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আফগানিস্তানের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ কোনও কর্মকাণ্ডে যাতে অংশগ্রহণ না করে তা নিশ্চিত করা। এটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ পর্যবেক্ষণ করে এবং নিশ্চিত করে যে সেগুলি কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! অবশেষে IPL-এ চ্যাম্পিয়ন RCB

ভারত ও তালিবানের বন্ধুত্বে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পাকিস্তান (Pakistan) এমন এক সময়ে এই কমিটির সভাপতিত্ব করতে যাচ্ছে যখন ভারত ও তালিবান সরকারের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে। ভারতের বন্ধুত্বের কারণে, আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত বিদেশন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা করেছেন। এরপর ভারত উদ্যোগ নেয় এবং আফগান নাগরিকদের জন্য ভিসার নিয়ম শিথিল করে। এদিকে চিনের সহায়তায় পাকিস্তান কাবুলে তাদের প্রভাব প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।

দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও:

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X