বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আরও একটি নতুন সমস্যা দেখা দিল। একেই বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে থাকার কারণে আমদানি বন্ধ রয়েছে। তার উপর সমানে বেড়ে চলা মুদ্রাস্ফীতির জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও হয়েছে আকাশছোঁয়া। একইসঙ্গে জ্বালানির দামও বেড়ে এমনই হয়েছে যে দেশের অনেক জায়গায় জ্বালানি সঙ্কটও দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের নানা প্রান্তে পেট্রোল পাম্পগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। এত কিছুর মধ্যে আরও একটি নতুন সমস্যা দেখা গেল প্রতিবেশী রাষ্ট্রে।
জানিয়ে রাখি, সাধারণ মানুষের প্রয়োজন মেটানোর মতো অর্থ মজুত নেই পাক সরকারের কাছে। এর ফলে তারা প্রায়দিনই নিত্য নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করে চলেছে দেশে। যেমন বিদ্যুৎ বাঁচাতে রাত ৮টার পর কোনও অনুষ্ঠান না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ বার জ্বালানির উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা লাগু করল শেহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তান সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আর ২৪ ঘণ্টা গ্যাস পরিষেবা পাবেন না সাধারণ মানুষ।
সরকারি সূত্রে খবর, পাকিস্তান প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে। রমজান মাস চলাকালীন দেশে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে ব্যাপকভাবে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে ব্যর্থ সরকার। এই কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দিয়েছে জ্বালানি সঙ্কট। এই অবস্থায় ব্যাপক হারে গ্যাসের কালোবাজারি শুরু হয়েছে। এই কারণে পাক সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আর ২৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ করা হবে না মানুষকে।
মন্ত্রী মুসাদিক মালিক গ্যাসের বিল নিয়েও নতুন নিয়ম জারি করেছেন। পাকিস্তানের মানুষ জ্বলানি সঙ্কটে ভুগছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেছেন যে শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করতে তিনি করাচি সফর করবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, এখন থেকে ধনী ও গরিব ব্যক্তিদের মধ্যে গ্যাসের বিলে ফারাক রাখা হয়েছে। এ বার থেকে গ্যাস পরিষেবা ব্যবহারের জন্য ধনীদের বেশি টাকা দিতে হবে। সরকারি আধিকারিকরাও জানিয়েছেন যে গ্যাস সরবরাহের সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হবে।
গ্যাস সরবরাহ সমস্যার সমাধান করতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করছে সরকার। আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, এ বার থেকে নাগরিকদের গ্যাস ব্যবহারের উপর কড়া নজর রাখা হবে। কেউ কোনও অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ভাল ভাবে নেয়নি শিল্প মহল। তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের শিল্পপতিদের বক্তব্য, গ্যাস ছাড়া শিল্প চলবে না। ফলে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ।