বাংলাহান্ট ডেস্ক: পুরোপুরি দেউলিয়া হওয়ার ঠিক প্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। দারিদ্রের একেবারে দ্বারে দাঁড়িয়ে রয়েছে জিন্নার স্বপ্নের দেশ। সে ভাবে কোনও আশার আলোও দেখা যাচ্ছে না পাকিস্তানের জন্য। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) বেল আউট প্যাকেজের সাহায্য না পেলে পুরোপুরি ডুবে যাবে তারা। এই অবস্থাতে চাঞ্চল্যকর একটি খবর এল। পাকিস্তান নাকি এখনও চাইলেই এক ঝটকায় খারাপ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।
তবে এই টাকা পাওয়া বা ব্যবহার করা অতটা সহজ নয়। বিদেশি অনেক ঋণদাতা পাকিস্তানের অনেক অর্থ বাকি রেখেছে। সেই অর্থ পাকিস্তানের প্রাপ্য। প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার টাকার ঋণ ও গ্রান্টের অর্থ প্রাপ্য তাদের। কিছু কিছু ঋণ প্রায় ১৫ বছরের পুরোনো। ক্যারি-লুগার অ্যাক্ট অনুযায়ী আমেরিকার থেকেও ১.৬ বিলিয়ন ডলার পায় পাকিস্তান। এই অর্থগুলি পেলে অনেকটাই সাহায্য হতে পারে দেশটির।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান অনেক আগেই এই টাকাগুলি পেতে পারত। কিন্তু তাদের ঢিলেমির কারণে তা হয়ে ওঠেনি। প্রকল্পগুলির দ্রুত বাস্তবায়ন করলে এই পরিমাণের একটি বড় অংশ পেত পাকিস্তান। কিন্তু তারা সেটা করেনি। পাকিস্তানের সরকার, কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদরা এতে কোনো আগ্রহ দেখাননি। এভাবে দেশটিও আরও ঋণের বোঝায় ডুবে যেতে থাকে।
দাতা দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের খারাপ সম্পর্কের কারণেও কিছু পরিমাণ অর্থ আটকে আছে। এই মুহূর্তে ৩.৭ বিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে পাকিস্তানের। তার উপর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে ১.১ বিলিয়ন ডলার সাহায্য চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং অর্থমন্ত্রী ইশাক দার। এই অব্যবহিত অর্থ সম্পর্কে পাক অর্থ মন্ত্রক দ্বারা প্রকাশিত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কিন্তু এত বিপুল অব্যবহৃত অর্থ থাকার কারণ কী? বিভিন্ন কারণে এই জিনিস হয়েছে। যেমন সরকারি অনুমোদনের ধীর প্রক্রিয়া, ঋণ আলোচনায় বিলম্ব, ক্রয়ের বিবরণ চূড়ান্তকারী সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, দীর্ঘ নিলাম প্রক্রিয়া এবং কর্মক্ষম সংস্থাগুলির অভাব। এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে পাকিস্তানের সরকারকে। পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক ঋণদাতারা সাহায্য করলেও সেই অর্থ তারা সঠিক ভাবে ব্যবহারই করতে পারেনি তারা।
এই অব্যবহৃত পরিমাণ পাওয়ার জন্য পাকিস্তান একটি প্রতিশ্রুতি ফিও দিচ্ছে। এর পরেও সরকার বোঝেনি যে এই পরিমাণ অর্থ ব্যবহার করে দেশের দারিদ্র দূর করা সম্ভব ছিল। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বেল আউট প্যাকেজের মধ্যে ২.৬ বিলিয়ন ডলার বিতরণ করতে পারেনি। তারা জানিয়েছে, পাক সরকার তাদের শর্ত মেনে কাজ করতে প্রস্তুত নয়। তাই এখন তাদের এমন খারাপ অবস্থা।