বাংলা হান্ট ডেস্ক : পাকিস্তানের (Pakistan) স্কুলেই বিরোধী শিক্ষা দেওয়া হয় ছাত্রদের। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল ভারতের পড়শি দেশ থেকে। জানা যাচ্ছে, সে দেশের ইতিহাসে ভারত হিন্দু ধর্মের প্রতি শিশু বয়স থেকেই ছাত্রদের মন বিষিয়ে পরিকল্পনা করেছে পাকিস্তানের শিক্ষা সংসদ। ইতিহাসে ভারত এবং হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে একাধিক ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
শুধু তাই নয়, ভারতের রাষ্ট্রপিতা মহাত্মা গান্ধী এবং জাতীয় কংগ্রেসের ব্যাপারেও প্রচুর ভুল তথ্য দেওয়া রয়েছে। যেখানে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা সমস্ত রাষ্ট্র এবং সমস্ত ধর্মকে শ্রদ্ধা করতে শেখায়, সেখানে পাকিস্তান ভারত এবং হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে পাঠ দিচ্ছে পাকিস্তান। অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাসে একটি অধ্যায় রয়েছে ব্রিটিশ আমলে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা নিয়ে। সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে জাতীয় কংগ্রেস একটি হিন্দু রাজনৈতিক দল।
শুধু তাই নয়, জাতীয় কংগ্রেস নাকি তৈরি হয়েছিল দেশের কথা বলতে নয় বরং হিন্দুদের দাবি আদায় করতে। মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কেও একাধিক ভুল তথ্য রয়েছে ওই বইতে। বলা হয়েছে, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মহাত্মা গান্ধী একটি উল্লেখযোগ্য নাম। কিন্তু তিনি আদতে একজন হিন্দু নেতাই ছিলেন।
পাকিস্তানের ইতিহাসে লেখা হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী কোনওদিনই মুসলিমদের জন্য কিছু চাননি। বরং তিনি কংগ্রেসের নেতৃত্ব হিন্দুদের হাতেই দিয়েছিলেন। মহাত্মা গান্ধীর সংকীর্ণ মানসিকতার জন্যই নাকি ভারতে হিংসার সৃষ্টি হয়। এই বইতে বারবার করে বলা হয়েছে, মুসলিমরা যেন কোনওদিনই হিন্দুদের বিশ্বাস না করে। উদাহরণ স্বরূপ বলা হয়, বঙ্গভঙ্গের সময় সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুরা মুসলিমদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
গোটা বইয়ে কোথাও অখণ্ড ভারতের কথা উল্লেখই নেই। বরং, বলা হয়েছে, ভারতীয় মুসলমান সমাজ সবসময়ই ভারত থেকে পৃথক হয়ে একটি মুসলিম রাষ্ট্রে থাকতে চায়। শুধু তাই নয়, ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামে মুসলিমদের যোগদানকে বড় করে দেখিয়ে মুসলিম রাষ্ট্রবাদের কথা বলা হয়েছে।