বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য সবরকম পরিস্থিতি সামলাতে প্রস্তুত হয়ে রয়েছে ভারত (India)। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এর অধীনে দেশের মধ্যে অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম নির্মাণের মাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। দেশীয় প্রযুক্তির উপরে নির্ভর করে সেনাবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করছে দেশ। আর ঠিক তখনই প্রতিবেশী আরেকটি দেশ ছক কষতে ব্যস্ত কীভাবে ভারতকে (India) বিপাকে ফেলা যায়। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই তলানিতে গিয়ে ঠেকছে পাকিস্তানের। কিন্তু এবার চিন্তা বেড়েছে পড়শি দেশের। এমনকি প্রাণে ভয় ঢুকেছে খোদ পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের। এবার সেকথা ফাঁস করেছেন বালোচিস্তান থিঙ্ক ট্যাঙ্কের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অধ্যাপক জাফর খান। দেশের অভ্যন্তরের দুশ্চিন্তাই বিশ্বের সামনে নিয়ে এসে ফেললেন তিনি।
ভারতের (India) ব্রহ্মাস্ত্র দেখে উদ্বিগ্ন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ
সংবাদ মাধ্যমে জাফর খান দাবি করেছেন, ভারতের (India) ব্যালিস্টিক মিসাইলের বাড়বাড়ন্তে চিন্তায় পড়েছে পাকিস্তান সরকার। দেশীয় প্রযুক্তিতে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে ভারত যেভাবে তড়তড় করে এগিয়ে চলেছে তাতে রীতিমতো ভাবনায় পড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থেকে সেনা এবং গুপ্তচর সংস্থা ISI ও। এমনকি ডিআরডিওর ১৫,০০০ কিমি পাল্লার হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল মিসাইল দেখে নাকি শরিফ নিজেই ঘনিষ্ঠ মহলে উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছেন। ভারতকে (India) এঁটে উঠতে চিন বা উত্তর কোরিয়ার থেকে পালটা কোনো শক্তিশালী প্রযুক্তির খোঁজ শুরু করেছে পাকিস্তান।
কী বিশেষত্ব এই ভারতীয় অস্ত্রের: মহাকাব্যে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’এর কথা তো পড়েছেন সকলেই। বর্তমান যুগে ভারতের (India) এই হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকলকেই ‘আধুনিক ব্রহ্মাস্ত্র’ বলা যায়। কিন্তু কী এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রের যার জন্য এমন থরহরিকম্প হয়ে রয়েছে শত্রুরা? যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সামরিক সজ্জা অত্যাধুনিক করে চলেছে বিভিন্ন দেশ। আর এক্ষেত্রে হাইপারসনিক অস্ত্রের চাহিদা রয়েছে সর্বত্রই। হাইপারসনিক কথার অর্থ হল যা শব্দের থেকেও পাঁচ গুণ দ্রুত গতিসম্পন্ন। চোখের নিমেষে উড়ে গিয়ে ধ্বংস করে দিতে শত্রু শিবির। ভারতের (India) কাছে যে হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল রয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো। তবে এতে যে মিসাইল বসানো হবে সেটি তৈরি হচ্ছে রাশিয়ার প্রযুক্তিতে।
আরো পড়ুন : Ghibli-র আড়ালে লুকিয়ে ‘মরণফাঁদ’? আপনার অজান্তেই চুরি হয়ে যাচ্ছে ছবি?
আধুনিক যুদ্ধের ব্রহ্মাস্ত্র: হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকলে বসিয়ে নিক্ষেপ করা যাবে লং রেঞ্জ অ্যান্টি শিপ মিসাইল। দূরপাল্লার ক্ষেত্রে শত্রু ঘাঁটিকে অব্যর্থ নিশানায় উড়িয়ে দিতে এই মিসাইল সিস্টেমের কোনো জুড়ি নেই। এখনো পর্যন্ত যত আধুনিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে সবকিছুই হার মেনেছে হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল থেকে ছোঁড়া হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের কাছে। সাধারণত বিমান থেকে কোনো মিসাইল নিক্ষেপ করা হলে বায়ুমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে আসার সময় তাপে এবং চাপে খানিক লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও হতে পারে। কিন্তু হাইপারসনিক মিসাইলের ক্ষেত্রে সে আশঙ্কা একেবারেই নেই। এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহার করেছে পুতিন প্রশাসন।
আরো পড়ুন : অবৈধ অনুপ্রবেশের দিন শেষ! কড়া হুঁশিয়ারি অমিত শাহের, কী জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?
বর্তমানে প্রায় সব সীমান্ত নিয়েই কড়া অবস্থান নিয়েছে ভারত (India)। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বিশেষ করে চিন এবং পাকিস্তানের কথা মাথায় রেখেই হাইপারসনিক মিসাইল সিস্টেমকে আরো উন্নত করার চেষ্টা করছে ভারত। অন্যদিকে মিসাইল হামলা রোখার জন্য এস-৪০০ এর মতো মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমও রয়েছে ভারতের। আমেরিকা, চিন এবং রাশিয়া ছাড়া আর একমাত্র ভারতই হাইপারসনিক তালিকায় জায়গা করতে পেরেছে। তাই পাকিস্তানের পক্ষে যে ছাপ বাড়ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।