বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) আতঙ্কের মধ্যেও পাকিস্তান (Pakistan) কিন্তু তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় এখনও পাকিস্তান গুলি চালিয়ে যাছে। মানবিকতা বোধ উলঙ্ঘন করে আবার নিজেই মানবিকতাবোধের দোহাই দিয়ে বিশ্বের থেকে সাহায্য চাইছে। করোনা ভাইরাসের কারণে একদিকে সমগ্র বিশ্ব আতঙ্কিত, আর অন্যদিকে পাকিস্তান বেআইনিভাবে সন্ত্রাসবাদীদের সীমান্ত পার করতে সাহায্য করছে। এরজন্য আতঙ্কবাদীদের প্রচুর পরিমাণে অর্থ সাহায্যও করছে পাক সরকার। অর্থ সংকটের কথা বলে একদিকে বিশ্বের থেকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য অর্থ সাহায্য চাইছে, আর অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদীদের প্রচুর পরিমাণে অর্থ সাহায্য করেই চলেছে।
পাক সরকার ইমরান খান বিশ্বের কাছে দাবী জানিয়েছে, তাঁদের সাহায্য না করলে, তাঁরা না খেতে পেয়ে মারা যাবে। বিশ্বের কাছে এক প্রস্তাব পেশ করে, ‘যে এই পরিস্থিতিতে এখন পাকিস্তানকে সাহায্য করুক বিশ্ব। নয় আমরা অনাহারেই মারা যাব’। আবার ইমরান খানের এই আর্জি, করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের ঋণ মুকুব করার এক পন্থা বলে মনে করছেন অনেকে।
ইমরান খান ট্যুইটার এবং অন্যান্য স্যোশাল মিডিয়ায় এক ভিডিও পেশ করে জানায়, ‘এই সংকটের মুহুর্তে পাকিস্তানের মতো ঋণের সাগরে নিমজ্জিত দেশের জন্য এক অভিযান চালানো উচিত। এই অভিযানের ফলে আর্থিক দিক থেকে দুর্বল দেশের ঋণ মুকুব করা উচিত’। তিনি আরও বলেন, ‘আর্থিক দিক থেকে দুর্বল দেশ পাকিস্তান এখন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে অক্ষম। বিশ্বের অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ দেশদের এখন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানো উচিত।
কিছুদিন আগেই SAARC অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোকে করোনা ভাইরাসের কারণে এক আর্থিক ফান্ড তৈরির কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকেও অর্থ সাহায্য চায় পাকিস্তান। তবে বর্তমানে ইমরান খান বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে আর্জি জানিয়েছে, যদি দ্রুতই পাকিস্তানের সাহায্য তারা না করে, তাহলে পাক নাগরিকরা করোনা ভাইরাস নয় খাদ্য সংকটেই প্রাণ হারাবে। ইমরান খান আবার সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের জেনারেল সেক্রেটারির কাছে আবেদন জানিয়েছে, ‘দুর্বল দেশদের এই সময় সাহায্য করতে, যাতে তারা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে পারে’।
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশের কাছে এই মুহুর্তে যথেষ্ট অর্থ নেই, যা দিয়ে তারা স্বাস্থ্য বিষয়ক খাতে তা ব্যয় করবে। আবার সংকটের সময় তাঁদের খাদ্য সংকটের থেকেও রক্ষা করবে’। তবে অনেকের ধারণা এই সংকটের সময়ে পাকিস্তান যে পরিমাণ অর্থ সাহায্য চাইছে, তারা যে সবটুকুই ভালো কাজে ব্যয় করবে, তার কিন্তু কোন নিশ্চয়তা নেই।