বাংলা হান্ট ডেস্ক: খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার রহস্য এখনও সমাধান হয়নি। এরই মধ্যে একটি বড় বিষয় সামনে এসেছে। কানাডা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ভারত সরকারকে দায়ী করলেও এবার এই ঘটনায় পাকিস্তানের (Pakistan) নামও প্রকাশ্যে এসেছে। শুধু তাই নয়, নিজ্জার হত্যার ঘটনার তদন্তে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (RCMP) এবার দুই ISI এজেন্ট তারিক কিয়ানি এবং তাঁর সহযোগী রাহাত রাওকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
নিজ্জার খুনের পেছনে রয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan) হাত:
নিউজ-18-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সূত্র জানিয়েছে, “কানাডায় নিজ্জারের কাছাকাছি যাওয়া সবার পক্ষে সম্ভব ছিলনা। রাও এবং কায়ানি কানাডায় ISI-এর দুই প্রধান এজেন্ট। দু’জনেই গোয়েন্দা সংস্থার জন্য সবচেয়ে সক্রিয়। পাশাপাশি, তাঁরা দু’জন ভারত থেকে কানাডায় আসা সন্ত্রাসবাদীদেরও নিয়ন্ত্রণ করেছেন।”
পাকিস্তান কি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে: সূত্রের মতে, কিয়ানি এবং রাওকে নিজ্জারকে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যাতে মাদক ব্যবসা সরাসরি তাঁদের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই প্রসঙ্গে সূত্র জানিয়েছে, “নিজ্জার সময়ের সাথে সাথে শক্তিশালী হয়ে উঠছিল এবং কানাডিয়ান সম্প্রদায়ে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এদিকে রাও, কিয়ানি এবং পান্নুকে সম্ভবত এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এটাই ছিল তাঁদের আয়ের প্রধান উৎস। পাকিস্তানি (Pakistan) নেতাদের সঙ্গে নিজ্জারের যোগাযোগ ISI-এর জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই, সম্ভবত বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করতে তাঁরা প্রথমে নিজ্জারকে টার্গেট করেন।”
এদিকে, কিয়ানি এবং রাওয়ের কার্যকলাপ এখন কানাডার গোয়েন্দা আধিকারিকের জন্য গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁরা দু’জনেই পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI-এর হয়ে কাজ করছেন এবং কানাডায় খালিস্তানি সমর্থক ও সন্ত্রাসবাদীদের সুরক্ষা দিচ্ছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: আর মিলবে না সুযোগ! অস্ট্রেলিয়ায় জিততে না পারলেই চাকরি যাবে গম্ভীরের, কি জানাল BCCI?
কানাডায় হিংসাত্মক পরিবেশের জন্য হিন্দুদের দায়ী করা হয়েছে: এদিকে, পাকিস্তানের (Pakistan) গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (ISI)-এর এজেন্ট এবং রিপাবলিক প্লাস টিভির মালিক তারিক কিয়ানি কানাডায় দীপাবলির আগে সংঘটিত হিংসাত্মক ঘটনা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। কিয়ানি গত ৩ নভেম্বরে হওয়া হিংসাত্মক ঘটনার জন্য হিন্দুদের দায়ী করেন এবং দাবি করেন যে শিখরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করলেও হিন্দুরা পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। কিয়ানি, একটি ৩০ মিনিটের দীর্ঘ ভিডিওতে দাবি করেছেন যে ওই ঘটনায় শিখদের কোনও ভূমিকা নেই এবং এটি সবই হিন্দুদের দ্বারা সৃষ্ট। তাঁর মতে, “শিখদের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল, কিন্তু হিন্দুরা সংঘর্ষ শুরু করে।”
আরও পড়ুন: এবারে হবে আসল ধামাকা! কেরিয়ারের সবথেকে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন নীরজ চোপড়া
এদিকে, ভিডিওতে কিয়ানি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধেও বিবৃতি দিয়েছেন। সূত্র জানিয়েছে, “তাঁর টিভি শো ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। তিনি কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীর বিষয় নিয়ে কথা বলেন। এটা অন্যায় যে তিনি একটি ক্ষমতাসীন সরকারকে অপরাধী বলছেন। এর পাশাপাশি তিনি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইকেও বাঁচানোর চেষ্টা করছেন এবং কানাডায় তার উপস্থিতি স্পষ্টভাবে অস্বীকার করছেন।”