বাংলা হান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) শাহবাজ শরীফ (Shehbaz Sharif) সরকার একদিকে যখন সৌদি আরব থেকে শুরু করে চিন পর্যন্ত ঋণের জন্য অস্থির উঠেছে ঠিক সেই আবহেই পর্দার আড়ালে থেকে পারমাণবিক অস্ত্রে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে সেই দেশ। আর এভাবেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা বাড়ানোর মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে। জানা গিয়েছে, “বন্ধু” চিনকে অনুসরণ করে পাকিস্তান এবার দ্বিতীয় সাইলো মিসাইল তৈরি করছে। এতে পাকিস্তানের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তি অনেকাংশেই বৃদ্ধি পাবে।
এই প্রসঙ্গে স্যাটেলাইট ইমেজের বিশেষজ্ঞ কর্নেল বিনায়ক ভাট গুগল আর্থ থেকে প্রাপ্ত ছবির ভিত্তিতে এই দ্বিতীয় সাইলো মিসাইলের ঘাঁটিটিকে শনাক্ত করেছেন। তিনি বলেন, নতুন ক্ষেপণাস্ত্র সাইলোর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। তাঁর মতে, এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র সাইলো পাকিস্তানের মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র আবাবিলের জন্য হতে পারে, যা MIRV প্রযুক্তিতে সজ্জিত। এমতাবস্থায়, ভারতের সবচেয়ে বড় শত্রু চিনের সহায়তায় পাকিস্তান এই MIRV প্রযুক্তি অর্জন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জানিয়ে রাখি যে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ হল ২,২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। আর এইভাবে পুরো ভারতকে নিশানা করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র।
পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র একসঙ্গে একাধিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে: বিশেষজ্ঞদের মতে, MIRV প্রযুক্তির সাহায্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্রে একাধিক ওয়ারহেড বহন করা যায়। এর ফলে একটি মিসাইলের সাহায্যেই বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করা সম্ভব হয়। মনে করা হচ্ছে যে, পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পারমাণবিক বোমা বহন করতে পারে। যার ফলে সংশ্লিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্রটি বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংস করে দিতে পারে। শুধু তাই নয়, MIRV প্রযুক্তিতে সজ্জিত কোনো মিসাইলকে ভারতের S-400 বা আমেরিকার থার্ড সিস্টেমের মতো ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যেও সেটিকে ভূপাতিত করা সহজ নয়।
মূলত, MIRV প্রযুক্তিতে সজ্জিত ক্ষেপণাস্ত্র বুস্ট হওয়ার পরে তার ওয়ারহেড ছেড়ে দেয়। যার ফলে সেটি মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম দ্বারা ধংস করে দেওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। এর কারণ হল, যে কোনো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিটি ওয়ারহেডকে বাতাসে ধ্বংস করার চেষ্টা করে। এমতাবস্থায়, একাধিক ওয়ারহেড থাকলে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের কাজ খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। এমতাবস্থায়, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, ভারত S-400 ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করেছে। যা বিশ্বের সেরা বলে বিবেচিত হয়। এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রায় ৩০টি বিমানের লক্ষ্যবস্তুকে এক সাথে ধ্বংস করতে পারে। শুধু তাই নয়, অর্ডার পাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে S-400 সিস্টেম স্থাপন করা যাবে। পাশাপাশি, এটি সহজেই যেকোনো জায়গায় বহন করা যায়। এর রেঞ্জ হল ৪০০ কিমি।
#Pakistan #nuclear forces increasing its capacity & capability.
New #silos constructions in full swing.
Second site of silos construction identified.
These could be new basings for #Ababeel #MIRV developed with proliferator friend #China’s help. pic.twitter.com/cneJ6TbBXd— 卫纳夜格.巴特 Col Vinayak Bhat (Retd) @Raj47 (@rajfortyseven) August 26, 2022
ভারতের S-400 সিস্টেম কি পাকিস্তানি মিসাইলকে টক্কর দিতে পারে: বিশেষজ্ঞদের মতে, S-400-এর সাহায্যে ভারত সহজেই পাকিস্তানের আবাবিল ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারে এবং দেশের শহরগুলিকেও সুরক্ষিত রাখবে। পাকিস্তান চিনের সহায়তায় আবাবিল তৈরি করেছে যাতে ভারতের এয়ার ডিফেন্সকে পরাজিত করা যায়। তাই এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের জন্য একটি বড় হুমকি। মূলত,পাকিস্তানের বন্ধু চিনও যখন বড় পরিসরে সাইলো ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছিল, তখন এই তথ্য সামনে এসেছে। সাইলোর সাহায্যে যে কোনো হামলার ক্ষেত্রে মিসাইলগুলিকে রক্ষা করা যায়।