বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে ভারতের আর এক পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। এমনিতেই শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) ভয়াবহ আর্থিক বিপর্যয়ের কথা আমরা সকলেই জানি। ঠিক সেই আবহেই নতুন করে সঙ্কটের মুখোমুখি পাকিস্তান। জানা গিয়েছে পাকিস্তান বর্তমানে চরম দারিদ্রের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। এছাড়াও, পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
যে কারণে খাদ্যদ্রব্য সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলির নাগাল পেতেই কার্যত হাহাকার পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের অর্থনীতিও পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। এমনকি, ওই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারেও বিরাট পতন স্পষ্ট হয়েছে। জানা গিয়েছে, আপাতত সেই ভান্ডার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়ে ৭.৮৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
তৈরি হয়েছে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি: পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার ২০১৯-এর পর বর্তমানে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ঋণ পরিশোধ বৃদ্ধি এবং বহিরাগত অর্থায়নের অভাবের কারণে চলতি মাসে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। পাশাপাশি, বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন যে, IMF (International Monetary Fund) যদি পাকিস্তানকে এমতাবস্থায় সাহায্য না করে, তাহলে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে কেউ ঠেকাতে পারবে না।
বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে: এই প্রসঙ্গে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান (SBP)-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ওই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ৫৫৫ মিলিয়ন ডলার বা ৬.৬ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে। মূলত, ঋণ পরিশোধ বৃদ্ধি এবং বহিরাগত অর্থায়নের অভাবের কারণে চলতি মাসে এই ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি, ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, “পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তথ্যে দেখা গেছে, তাদের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসে পৌঁছেছে ৭.৮৩ বিলিয়ন ডলারে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগে অর্থাৎ ৫ আগস্ট পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারের পরিসংখ্যান ছিল ৮.৩৮৫ বিলিয়ন ডলার। এমতাবস্থায়, বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানের বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার এক মাসের আমদানি ব্যয়ের জন্য যথেষ্ট। তাঁদের মতে, পাকিস্তানের এমন খারাপ অবস্থার প্রধান কারণ হল দুর্নীতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা। পাশাপাশি, সেখানে কোনো সরকারই পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারে না বলেও জানান তাঁরা।