বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বিগত কয়েকদিনে ভারতের (India) বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে ক্রমাগত হ্রাসের পর বিগত তিন সপ্তাহে স্বস্তি মিলেছে। আসলে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের নিরিখে টানা তৃতীয় সপ্তাহে সুখবর পেল ভারত। গত ৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে, বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ৭.৬৫ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ৬৩৮.২৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই নিয়ে টানা তৃতীয় সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে।
ফের দাপট শুরু ভারতের (India):
সেপ্টেম্বরে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার রেকর্ড পর্যায়ে ছিল: এর আগে, গত ৩১ জানুয়ারিতে শেষ হওয়া সপ্তাহে, বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে ১.০৫ বিলিয়ন ডলারের বৃদ্ধি ঘটেছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ৬৩০.৬০৭ বিলিয়ন ডলারে। আসলে, রুপির ওঠানামা কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে RBI-এর হস্তক্ষেপের পাশাপাশি মূল্যায়নের কারণে ভারতের (India) বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে পতনের প্রবণতা ছিল। এর আগে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে, বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ৭০৪.৮৮৫ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড উচ্চ স্তরে বৃদ্ধি পেয়েছিল।
FCA-তে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি: জানিয়ে রাখি যে, ARBI দ্বারা প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে, বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারের অন্যতম প্রধান অংশ বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ (Foreign Currency Asset) ৬.৪২ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৫৪৪.১১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ডলারে উল্লিখিত বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে থাকা ইউরো, পাউন্ড এবং ইয়েনের মতো অ-মার্কিন মুদ্রার গতিবিধির প্রভাব থাকে। এদিকে, এই সপ্তাহে সোনার মজুতের মূল্য ১.৩১ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৭২.২১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের বাজিমাত আম্বানির! অধিগ্রহণ করলেন ৪৫ পুরনো বছরের ব্র্যান্ড, এই সেক্টরে বাড়বে দাপট
SDR ১.১ কোটি ডলার বেড়ে ১৭.৮৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে: এদিকে, স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস তথা SDR ১.১ কোটি ডলার বেড়ে ১৭.৮৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। RBI-এর তথ্য অনুসারে, পর্যালোচনাধীন সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) কাছে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ৭.১ কোটি হ্রাস পেয়ে ৪.০৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। জানিয়ে রাখি যে, বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার বৃদ্ধি দেশের (India) অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি, এটি বাহ্যিক আঘাত থেকেও দেশকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার বৃদ্ধি আমদানি সস্তা করে এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান! এই তারকা প্লেয়ারই হচ্ছেন KKR-এর অধিনায়ক? চলে এল বড় আপডেট
আবারও কমেছে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার: সম্প্রতি যখন ভারতের (India) বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে পতনপুরিলক্ষিত হয়েছিল সেই সময়ে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে বৃদ্ধি ঘটেছিল। কিন্তু এখন, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছে। প্রতিবেশী দেশটি বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারের ঘাটতিতে ভুগছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে শেষ হওয়া সপ্তাহে, পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ১৮১.৫ মিলিয়ন ডলার হ্রাস পায়। এদিকে, এই পতনের জেরে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ১৫.৮৬২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।