বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জুম্মার দিন শুক্রবার পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল শহর করাচিতে পুলিশ প্রধানের কার্যালয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। পাকিস্তানি মিডিয়ার মতে, আধাসামরিক রেঞ্জার, পুলিশ এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে এনকাউন্টার চার ঘন্টা ধরে চলে। রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনজন জঙ্গি নিজেদের বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয় এবং দুইজন ক্রসফায়ারে নিহত হয়। রেঞ্জার ও পুলিশ সদস্যসহ সাতজন নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়েছেন। একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হামলাকারীরা পুলিশের ইউনিফর্মে প্রবেশ করেছিল। বর্তমানে সন্দেহভাজনদের মোট সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
প্রাথমিক দাবি অনুযায়ী, পাঁচতলা ভবনে ৮ থেকে ১০ জন জঙ্গি ঢুকেছিল। পুলিশ জানায়, সন্ত্রাসীরা প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটায় এবং পরে গুলি চালায়। তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (TTP) মুখপাত্র মুহাম্মদ খুরাসানি হামলার দায় স্বীকার করেছে। গত মাসে, পেশোয়ারের একটি মসজিদে বড় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল যাতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। ওই হামলায়ও আত্মঘাতী হামলাকারী পুলিশের ইউনিফর্মে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করেছিল।
করাচি পুলিশের এআইজি এবং পাক মিডিয়া জানিয়েছে যে, সন্ত্রাসীরা কম্পাউন্ডে প্রবেশ করেছে এবং উভয় পক্ষ থেকে গুলি চলছে। জিও টিভির খবর অনুযায়ী, পাঁচ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। কম্পাউন্ডের গেট বন্ধ এবং লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে সন্ত্রাসী ঘটনা অনেক বেড়েছে। করাচি পুলিশ সদর দফতরে হামলা এই পর্বের সর্বশেষ ঘটনা। জিও টিভির খবর অনুযায়ী, গোলাগুলিতে মোট ১৮ জন আহত হয়েছেন এবং পাক নিরাপত্তা কর্মীসহ সাতজন নিহত হয়েছেন।
https://twitter.com/ghulamabbasshah/status/1626595279557492740?s=20
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ একাধিক ডিআইজিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘করাচি পুলিশ অফিসে হামলা কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ মুরাদ আলী শাহ অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট চেয়েছেন। সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জড়িত সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সিন্ধুর গভর্নর কামরান তেসোরি হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং আইজি গোলাম নবী মেমনের কাছে ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন।