বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিনকয়েক আগেই শুরু হয়েছিল ব্রিকস সম্মেলন। এবারের ব্রিকস সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পড়েছিল চিনের উপর। বাকি দেশগুলির পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এই সম্মেলনে। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সশরীরে সেখানে হাজির হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেন। তবে, এবারের ব্রিকস সম্মেলনে পাকিস্তানকে একঘরে করার লক্ষ্যে এবার আরও জোরদার প্রয়াস নিল ভারত। পাকিস্তান-চিনের বিশেষ সখ্যতার পরেও ইসলামাবাদকে পর্যবেক্ষক পদে রাখতে পারল না চিন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও রাশিয়াকে নিয়েই তৈরি হয়েছে ব্রিকস গোষ্ঠী। তবে ব্রিকস সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির পাশাপাশি ওই বৈঠকে ইরান, মিশর, ফিজি, আলজেরিয়া, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রনেতারা ‘পর্যবেক্ষক’ ভূমিকায় উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু, ভারতের প্রবল আপত্তির কারণেই বেজিংয়ের শত চেষ্টার পরেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পর্যবেক্ষক হিসেবে বৈঠকে হাজির হওয়ার অনুমতি পাননি। এরপরেই গত সোমবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয় যে, ‘পাকিস্তানের উপস্থিতি নিয়ে একটি সদস্য দেশের আপত্তি ছিল’।
সূত্রের খবর, ব্রিকস জোটে নতুন সদস্য দেশের সংযুক্তিকরণের প্রসঙ্গ উঠতেই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে নাকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, জোটের সম্প্রসারণে ভারতের কোনও আপত্তি নেই, কিন্তু পাকিস্তানের উপস্থিতিতে ভারতের একেবারেই সায় নেই। ভারতের তীব্র বিরোধিতার সামনে জিনপিংয়ের ইচ্ছা যে ধূলিসাৎ হয়ে যায় একথা বলাই বাহুল্য। আর আন্তর্জাতিক কূটনীতির মঞ্চে পাকিস্তানের উপস্থিতি আটকে দেওয়াকে মোদী সরকারের বড় জয় হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।