বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধের দামামা বাজিয়েও শান্ত হননি তুরস্কের (Turkey) রাষ্ট্রপতি রিচাপ তাইয়েপ এরদোগান। পাকিস্তান (pakistan) প্রেম উথলে উঠে এখন কাশ্মীরে আতঙ্কবাদী পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন এরদোগান। এক সংবাদিক তাঁর প্রতিবেদনে এই গোপন অভিসন্ধি ফাঁস করে দিয়েছেন।
গ্রীসের সাংবাদিক মাউন্টজৌরুলি দাবি করেছেন, সিরিয়া থেকে ভয়ানক আতঙ্কবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিচাপ তাইয়েপ এরদোগান। পাকিস্তানকে সাহায্য করতে ভারতের কাশ্মীরে এই সকল আতঙ্কবাদীদের প্রবেশের পরিকল্পনাও করছেন। তিনি আরও দাবি করেছেন, সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি মিলিটিয়ার সুলাইমান শাহ ব্রিগেডের কমান্ডার মুহাম্মদ আবু ইম্পা কয়েকদিন আগেই তাদের মিলিশিয়া সদস্যদের জানিয়েছিলেন- ‘তুরস্ক সরকার আমাদের এখান থেকে কিছু ইউনিটকে কাশ্মীরে মোতায়েন করতে চাইছেন’।
পাশাপাশি গ্রিক সাংবাদিক আরও জানিয়েছেন, সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি মিলিটিয়ার সুলাইমান শাহ ব্রিগেড তাঁর সদস্যদের আরও জানিয়েছে, আর্মেনিয়ার নার্গোনো কারাবাখের মতই কাশ্মীরও একটি পাহাড়ি এলাকা। তাই যারা যারা কাশ্মীরে যাবে, তাদের ২০০০ ডলার অর্থ দেওয়া হবে।
সেইসঙ্গে তুর্কি এবং পাকিস্তান বর্তমান সময়ে নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও জোরালো করে তুলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি দাবি করেছেন, পাকিস্তান এবং তুরস্ক একজোট হয়ে অন্য দেশের জমি অধিগ্রহণ করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে। এমনকি যুদ্ধ্যাভ্যাস করতে পাকিস্তানের যুদ্ধ বিমান তুরস্কেও পাঠানো হচ্ছে।
পূর্বে জাতিসংঘে কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে সম্পূর্ণ রূপে সমর্থন করেছিল তুরস্ক। এমনকি আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যেকার যুদ্ধে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে আজারবাইজানকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিল তুরস্ক সরকার। পাশাপাশি ‘কিলিং ক্যাশিন’ নামে সিরিয়া থেকে আতঙ্কবাদীদের অর্থের বিনিময়ে আজারবাইজানের পক্ষে যুদ্ধক্ষেত্রেও পাঠিয়েছিল তুরস্ক। এই বিষয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত ছিলেন।