বাংলা হান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) পড়তি অর্থনৈতিক অবস্থা সারা বিশ্ব জানে।ধীরে ধীরে দেশটি অর্থনৈতিক সংকটের (Economic Crisis) অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে। দেশের অবস্থা এতটাই খারাপ যে সেখানকার মানুষের জন্য দুবেলা খাবার জোগাড় করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। তারমাঝেই, পাকিস্তান থেকে একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) । যার ফলে বিশ্ববাজারে আরো একবার মুখ পুড়েছে পড়শী দেশের।
ভাইরাল এই ভিডিওটি মূলত একটি ফ্লাইটের। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক পাকিস্তানি ব্যক্তি ফ্লাইটের ভেতরে থাকা লোকজনের কাছে অনুদান চাইছেন। একদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ (Shehbaz Sharif) এবং তার সেনাবাহিনী আইএমএফ ও বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর কাছে ঋণ চাইতে ব্যস্ত। অন্যদিকে এক সাধারণ পাকিস্তানিও ফ্লাইটের প্যাসেঞ্জারদের সামনে হাত পাতছেন।
এ থেকেই বোঝা যায় যে দেশটিতে অর্থ সংকট কতটা প্রবল। তবে ভিডিওতে থাকা ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন যে তিনি ভিক্ষা চাইছেন না, তিনি অনুদান চান। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায় যে তিনি ভিক্ষুক নন, তবে পাকিস্তানে একটি মাদ্রাসা তৈরি করতে অনুদান প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে যারা দান করতে চান, তারা দিতে পারেন।
ভিডিওতে তাকে জনগণকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের অনুদান দিতে উঠে আসতে হবেনা , আমি নিজেই আপনাদের কাছে যাচ্ছি। আসলে পাকিস্তানের অবস্থা এতটাই খারাপ যে মানুষের কাছে একটা রুটি কেনারও টাকা নেই। তারসাথে মুদ্রাস্ফীতি এমনই যে, সাধারণ মানুষের কাছে বেঁচে থাকাটাও এখন বিলাসিতা বলে মনে হচ্ছে।
এমতাবস্থায় পাকিস্তান সরকার আইএমএফ ও বন্ধুপ্রতিম দেশ যেমন আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের কাছে ঋণ চেয়ে এসেছেন। বিগত সময়ে মিত্রদেশ চীনের কাছেও হাত পেতেছিল পাকিস্তান। যদিও অবস্থা বেগতিক দেখে হাত তুলে নিয়েছে চীনা সরকার। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, মিত্র দেশের দেওয়া অঙ্কের অর্থ কিছুই নয়। পাকিস্তানকে বেহাল এবং প্রায় দেউলিয়া দশা থেকে উদ্ধার করতে এই টাকা একেবারেই নগণ্য।
A Pakistani can be seen begging in a flight; Says I am not a beggar but need money to make a madrasas in 🇵🇰.
Since Pak Govt & Army Chief take pride in raising begging bowl again and again,& celebrate the alms,encouraging Pak netzines to turn into a beggars#FailedStatePakistan pic.twitter.com/z8cVDhosSM
— The Inside Story (@TheInsideStory7) July 14, 2023
এর আগেও বহুবার পাকিস্তান এমন বেহাল দশার সম্মুখীন হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৮ সালেও এরকম একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। উল্লেখ্য, বছর দুই আগে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসারের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। সিন্ধু নদীর উপর ডায়ামার ভাশা বাঁধ নির্মাণের জন্য ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান তুলেছিলেন তিনি। অভিযোগ ওঠে, এই গোটা টাকাটাই নাকি আত্মসাত করেছেন তিনি। যদিও বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি দাবি করেন, বাঁধের বিজ্ঞাপনের পিছনে খরচ হয়ে গিয়েছে ৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় হিসেবে ৫০১ কোটি টাকা। যা আসলেই হাস্যকর ছিল।