ছিঃ! জঙ্গি নিধন করতে গিয়ে নির্বিচারে হত্যা নিরীহদের, পাকিস্তান যা করল….

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : জঙ্গি নিকেশের নামে নিরীহ সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করার গুরুতর অভিযোগ উঠল পাকিস্তান (Pakistan) সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের মারদান জেলায় এই জঙ্গি দমন অভিযান চালানো হয়েছিল। সেখানেই জঙ্গি দমনের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে পাকিস্তান নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। এই অভিযোগ মেনে নিয়ে গত ৯ মার্চ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে দায় সেরেছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সরকার। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে সরকার।

পাকিস্তানে (Pakistan) বেড়েছে জঙ্গি কার্যকলাপ

উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালে পাকিস্তানি (Pakistan) সেনার সঙ্গে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি বাতিল করে তেহরিক-ই-তালিবান। তারপর থেকেই বেড়ে গিয়েছে জঙ্গি কার্যকলাপ। পাক নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে প্রায়ই হামলা চালাচ্ছে এই জঙ্গি গোষ্ঠী। বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে জঙ্গি কার্যকলাপ উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পালটা পাকিস্তানের (Pakistan) নিরাপত্তা বাহিনীও জঙ্গি দমনে অভিযান চালাচ্ছে।

Pakistan military killed civilians instead of terrorists

মৃত্যু সাধারণ মানুষের: জানা যাচ্ছে, গত ২৯ শে মার্চ নির্দিষ্ট তথ্য নিয়েই খাইবার প্রদেশের ওই জেলায় অভিযান চালায় পাক (Pakistan) বাহিনী। একাধিক জঙ্গিকে নিকেশ করার দাবিও করেছেন জওয়ানরা। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, সেই সময়ে ওখানে থাকা সাধারণ মানুষেরও মৃত্যু হয় অভিযানে। এই ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সরকার। তবে সাধারণ মানুষকে হত্যার দায় স্রেফ বিবৃতি প্রকাশ করেই ঝেড়ে ফেলেছে খাইবার প্রদেশ সরকার।

আরো পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই প্রথম! ১২ বছর পর RSS -এর সদর দফতরে নরেন্দ্র মোদী, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা

বিষ্ফোরক দাবি সাংসদের: এর মাঝেই সোয়াট অঞ্চলের সাংসদ আমজাদ আলি বিষ্ফোরক দাবি করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি দাবি করেছেন, পাক নিরাপত্তা বাহিনী ড্রোনের মাধ্যমে এএই অভিযান চালিয়েছিল। ওই হামলায় গুজ্জর সম্প্রদায়ের (Pakistan) একটি পরিবারের অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয় বলে দাবি করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকজন শিশুও এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ বলেও দাবি করেছেন ওই সাংসদ।

আরও পড়ুন : মুহূর্তের মধ্যেই উড়ে যাবে শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক! পরীক্ষায় পাশ ভারতীয় সেনার “আত্মনির্ভর” ড্রোন

পাক বাহিনীর অভিযানের পর নিহত সাধারণ মানুষদের দেহ নেওয়ার জন্য ওই স্থানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সাংসদ। ওই হামলার পর সোয়াটে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন গুজ্জর সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর

X