বাংলাহান্ট ডেস্ক : তিন দিন ধরে লাগাতার ঘাত প্রত্যাঘাতের পর সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা করা হয়েছে ভারত পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে। শনিবার পাকিস্তানের DGMO ফোন করে ভারতের DGMO কে সংঘর্ষ বিরতির জন্য আর্জি জানিয়েছেন। ভারত তাতে রাজি হয়। অথচ তারপর তিন ঘন্টা কাটতে না কাটতেই সংঘর্ষ বিলতি সমঝোতা লঙ্ঘন করে সীমান্তবর্তী একাধিক এলাকায় হামলা চালায় পাকিস্তান (Pakistan)। পালটা কড়া জবাব দেয় ভারতও। যদিও শনিবার রাত দশটার পর থেকে পাকিস্তানের তরফে বন্ধ রাখা হয়েছে গোলাবর্ষণ। এমন পরিস্থিতিতে এবার ভারতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে আগ্রহ পাকিস্তানের (Pakistan)
এক টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মন্তব্য করেন, ভবিষ্যতে কখনো ভারতের সঙ্গে আলোচনা হলে কাশ্মীর সমস্যা থেকে সিন্ধুyh জলবন্টন চুক্তি, সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। আসিফ বলেন, কাশ্মীর, সিন্ধু জল চুক্তি এবং সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়গুলি আলোচনা হবে। তবে যুদ্ধবিরতিতে অটল থাকবে পাকিস্তান।
কী বার্তা দিলেন তিনি: সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, এর আগেও ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে যে বিষয়গুলি নিয়ে আগে কোনো সমাধান সূত্রে আসা যায়নি সেগুলি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। শনিবার রাতে পাকিস্তান (Pakistan) সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করার পরেও দেশবাসীর প্রতি বার্তা দেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
আরো পড়ুনয় : ভরা শিয়ালদহ স্টেশনে পাকিস্তানের নামে গলা ফাটিয়ে জয়ধ্বনি! ব্যক্তিকে ধরে উত্তম মধ্যম দিল ক্ষিপ্ত জনতা
মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেন: পাকিস্তানের যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘনের পর কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। এবার পাক (Pakistan) প্রতিরক্ষমন্ত্রী দাবি করলেন, স্থায়ী শান্তির দিকে প্রথম পদক্ষেপ এই সংঘর্ষ বিরতি। এটি ইতিবাচক লক্ষণ। তবে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন খাজা আসিফ।
আরো পড়ুন : ‘নিজেরাই মেরেছে’, পহেলগাঁও হামলা-অপারেশন সিঁদুরকে ‘প্রহসন’ তকমা দিয়ে বিপাকে তৃণমূল নেতা! উঠল গ্রেফতারের দাবি
তাঁর কথায়, ‘ভারত এবং তার রাজনীতি একদিন সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎকে দলীয় স্বার্থের ঊর্দ্ধে রাখবে বলে আমাদের আশা। পাশাপাশি শরিফের মতো তিনিও কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে চিন, তুরস্কের মতো দেশগুলিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব এখনো দেয়নি ভারত।